চিনের বুকি চেষ্টা করছে ম্যাচ ফিক্সিং করার, সতর্ক ভারতীয় ফুটবল মহল

চিনের বুকি চেষ্টা করছে ম্যাচ ফিক্সিং করার, সতর্ক ভারতীয় ফুটবল মহল

ভারতীয় ফুটবলে শেষ কয়েক সপ্তাহে বারবার উঠে এসেছে ফিক্সিং প্রসঙ্গ। কয়েক সপ্তাহ আগেই দিল্লির দুই ক্লাবের গড়াপেটার ছবি প্রকাশ করে ভারতীয় ফুটবলে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন পঞ্জাব এফসির কর্তা রঞ্জিত বাজাজ। এরপর দেখা যায় শুধু দিল্লি নয়, ভারতীয় ফুটবলের আরও অনেক দলের সঙ্গে নাম জড়াচ্ছে ফিক্সিংকাণ্ড। কদিন আগেই বাংলার টালিগঞ্জ ও উয়াড়ি ক্লাবেরও নাম জড়ানোয় তাদের সাময়িক নির্বাসিত করেছে বাংলার ফুটবল সংস্থা আইএফএ।

এবার এআইএফএফ-এর ইন্টিগ্রিটি অফিসার জাভেজ সিরাজের মেল এসে পৌঁছল রাজ্য ফুটবল সংস্থার দফতরে। সেই মেলে সজাগ-সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে রাজ্য সংস্থা এবং ক্লাবগুলোকে। ইতিমধ্যেই আইলিগ ক্লাবগুলোকেও ফিক্সিংয়ের বিষয় সতর্ক করেছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। জাভেদ সিরাজের মেল পৌঁছে গেছে সমস্ত আইলিগ ক্লাব ও রাজ্য সংস্থাগুলোর কাছে।

ফেডারেশনের চিঠিতে বলা হয়েছেন, চিনের জনৈক বুকি ভারতের বহু ক্লাবকে মেল করে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিচ্ছে। সেখানে তার নাম স্যাম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নিজের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে সেখানে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি সম্পর্কে কুয়ালালামপুর এএফসির দফতরে অভিযোগ জানিয়েছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। এএফসির তরফেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্য ফুটবল সংস্থায় চিঠি আসার পর সচিব অনির্বাণ দত্ত HT বাংলা-কে জানান, ‘ফিক্সিং হচ্ছে ফুটবলে ক্যানসারের মতো। এটা নিয়ে যদি আমরা এখন থেকেই ওয়াকিবহল না হই, তাহলে বাংলার ফুটবল কেন ভারতীয় ফুটবলও বড়সড় বিপদের মুখে পড়বে।ইতিমধ্যেই সেই চিঠি কলকাতা লিগের সমস্ত ক্লাবকে পাঠিয় দেওয়া হয়েছে, যাতে তারাও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকে। কারণ কলকাতা লিগেও এই একই অভিযোগ উঠেছে’।

গোটা দেশে এত বেটিং অ্যাপ চলে আসার জন্যই কি এত ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠছে। প্রশ্নটা ওঠা স্বাভাবিক। কিছুটা মেনে নিয়েই আইএফএ সচিব বলছেন, ‘বেটিং যদি না হয়, তাহলে ফিক্সিংয়ের প্রয়োজন কোথায়? জুয়ায় জেতার জন্যই তো ফিক্সিংয়ের প্রয়োজন হয়। তাই কিছু অসাধু ব্যক্তি এই কাজ করছে। তবে ভাবার সময় এসেছে, যে বিদেশি শক্তিরা এবার ভারতে ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে যোগ দিয়েছে। ফলে তাদের পরিধিটা ঠিক কত বড়। এই বিষয় থেকে দেশের ফুটবলকে বাঁচাতে গেলে সকলকে এক হয় ফিক্সিংয়ের বিরুদ্ধে লড়তে হবে, নাহলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এখন থেকেই এর বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমে পড়া উচিৎ, নাহলে দেরি হয়ে যাবে’।

(Feed Source: hindustantimes.com)