বড়সড় সাফল্য পেল বাংলাদেশি নিরাপত্তা বাহিনী। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির এক জঙ্গি নেতাকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী ইউনিট র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রবিবার তার বাসভবনে একটি তল্লাশি অভিযান চালায় র্যাব। সেখানেই আলমারির ভিতরে লুকিয়ে ছিলেন ওই জঙ্গি নেতা। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম চেওসিম বম।
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক লুট করার পর একজন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকেও অপহরণ করে। পরে ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে মুক্তি দেওয়া হয়। তার কয়েকদিন পর রবিবার চেওসিম বমকে গ্রেফতার করল নিরাপত্তা বাহিনী।
জানা যাচ্ছে, মূলত চেওসিম বম সংগঠনের অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া, জামাতুল আনসার ফিল ইন্দাল শারক্কিয়ার জঙ্গি নেতা শামীম মাহফুজ ও নাথান বমের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ চুক্তির মূল সমন্বয়কারী ছিলেন তিনি। একজন র্যাব কর্মকর্তা জানান, বান্দরবান শহরের কাছে অবস্থিত বমের বাড়িতে অভিযানের সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই আধিকারিক জানান, চেওসিম পলাতক কেএনএফ প্রধান নাথান বমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে নির্মূল করার প্রয়াসে বান্দরবানে কেএনএফের বিরুদ্ধে লাগাতার তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ। সেই সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ এর আগে বান্দরবান সফরের সময় বলেছিলেন, কেএনএফকে নির্মূল করার জন্য ধারাবাহিক অভিযান চালানো হচ্ছে। এর আগেও বেশ কয়েকজন কেএনএফ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত জুনে কোণঠাসা হওয়ার পর কেএনএফ শান্তিচুক্তির বিষয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু, তার পরে সে বিষয়টি আরও এগোয়নি। জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তিনটি শাখায় হামলা চালিয়েছিল এই জঙ্গি সংগঠন। ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে তারা আগ্নেয়াস্ত্র লুট করার পাশাপশি একজন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকেও অপহরণ করেছিল।
অন্যদিকে, গতবছর বান্দরবানে কেএনএফ সদস্যরা ৩ জন সামরিক সেনাকে হত্যা করেছিল। এছাড়াও কয়েকজন আহত হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনী মতে, এই নিষিদ্ধ সংগঠন এর আগে জামাতুল আনসার ফিল ইন্দাল শারক্কিয়ার সঙ্গে জোট করেছিল। একটি দুর্গম পাহাড়ে তাদের ঘাঁটি ছিল।
(Feed Source: hindustantimes.com)