বুধবার পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে একেবারে ল্যাজেগোবরে হয়ে হারে ইস্টবেঙ্গল এফসি। যার নিটফল, প্লে-অফে ওঠার যাবতীয় স্বপ্ন নিজেরাই গুঁড়িয়ে দিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে এদিন ১-৪ গোলে লজ্জাজনক ভাবে হেরে আইএসএল অভিযান শেষ করল লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেই সঙ্গে তাদের আইএসএলে প্লে-অফের খেলার স্বপ্নও শেষ হয়ে গেল। আর ম্যাচ হেরে ফুটবলারদের ক্লান্তিকে দায়ী করলেন লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।
তাঁর দাবি, ম্যাচের এক ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো খেলার পর যখন তিন নম্বর গোল করে দেয় পাঞ্জাব এফসি, তখনই দলের ফুটবলারদের উৎসাহে ভাটা পড়ে এবং শারীরিক ভাবেও ক্লান্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। ম্যাচের পর স্প্যানিশ কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত বলেন, ‘শুরুটা আমরা ভালোই করেছিলাম। বেশ কয়েকটা গোলের সুযোগও তৈরি করেছিলাম, তার মধ্যে কয়েকটা হাফ চান্সও ছিল। শুরুতেই গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। ওরা প্রথমে গোল করার পরও আমাদের ছেলেদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক ছিল। আমরা সমতা ফেরাই। দ্বিতীয় গোলটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। যার ফলে আমাদের পরিস্থিতি অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাও চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমাদের ছেলেরা ক্লান্ত ছিল। কারণ, সাত দিনে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে হয়েছে আমাদের।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে, আমরা একটা ভালো সুযোগ পেয়েছিলাম, যখন আমন বক্সের মধ্যে গোল করার ভালো সুযোগ পেয়ে যায়। তখনও আমরা খেলায় ছিলাম। ৬০ মিনিট পর্যন্ত আমাদের ফুটবলারদের খেলা দেখে মনে হয়নি যে, ওরা ক্লান্ত। তবু আমরা ফেলিসিওকে নামাই, আরও কতগুলো পরিবর্তন আনি। কিন্তু ওরা যখন তৃতীয় গোল করে, তার পরে আমাদের আর তেমন কিছু করার ছিল না। তখন ম্যাচের শেষ দিক। শারীরিক ভাবে আর পারছিল না ছেলেরা। এক ঘণ্টা পর্যন্ত আমরা লড়াই করেছি। কিন্তু তিন নম্বর গোলের পর সেই লড়াই শেষ হয়ে যায়।’
প্লে-অফে উঠতে না পারায় ক্লাবের সমর্থকদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন কুয়াদ্রাত। বলেন, ‘সমর্থক এবং শুভানুধ্যায়ীদের জন্য আমরা দুঃখিত। তবে আমরা প্লে অফে ওঠার জন্য শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লড়েছি।’ তবে এখন থেকেই কার্লস কুয়াদ্রাতের মাথায় পরবর্তী মরশুমের চিন্তা। সেই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন করে শুরু করার দিকে এগোচ্ছি। পরের মরশুমের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা শুরু করে দিয়েছি। পরের মরশুমের জন্য এমন একটা স্কোয়াড তৈরি করতে হবে, যা আমাদের আইএসএল প্লে-অফে পৌঁছে দিতে পারবে এবং খেতাবি লড়াইয়ে দলকে জেতাতে পারবে।’
(Feed Source: hindustantimes.com)