ক্ষেপিমা-এর কাছে পুজো দেব, নববর্ষ ছোটবেলায় ফিরতে কাটোয়ায় এসেছি,বরের খুব মন খারাপ

ক্ষেপিমা-এর কাছে পুজো দেব, নববর্ষ ছোটবেলায় ফিরতে কাটোয়ায় এসেছি,বরের খুব মন খারাপ

২০২৩-এর ৯ জুলাই, সবাইকে চমকে দিয়েই হঠাৎই বিয়েটা করে বসেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। পাত্র পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। যদিও সেটা ছিল শুধুই রেজিস্ট্রি বিয়ে। আর সেই বিয়ের পর হাসিখুশি ৯ মাস কাটিয়েও ফেলেছেন শ্রুতি-স্বর্ণেন্দু। বিয়ের পর প্রথম দোল বউ-এর সঙ্গে কাটাতে শ্বশুরবাড়ি কাটোয়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। আর এবার তো নববর্ষ উদযাপনের পালা।

বিয়ের পর এটাই তাঁদের প্রথম ১লা বৈশাখ হলেও, তবে এই নববর্ষে বরের সঙ্গে কাটানো হচ্ছে না শ্রুতির। তিনি আপাতত কাটোয়া। আর স্বর্ণেন্দু থাকছেন কলকাতাতেই। বাংলা নববর্ষ কাটানোর সমস্ত পরিকল্পনা Hindustan Times Bangla-র সঙ্গে ভাগ করে নিলেন পর্দার ‘রাঙা বউ’ শ্রুতি দাস

ফোন করতেই শ্রুতি বললেন, ‘এবার নববর্ষে ছোটবেলার স্মৃতিতে ফিরতেই কাটোয়ার বাড়িতে চলে এসেছি। এই দিনে ছোটবেলায় যেটা করতাম, এবার সেটাই করব। আমাদের এখানে খুবই জাগ্রত ক্ষেপা কালীমা রয়েছেন, অনেকে ক্ষেপিমাও বলেন, ওঁর কাছে পুজো দিয়েই দিনটা শুরু করব। আর বিকেলে ঘুরু ঘুরু, খাওয়া-দাওয়া এই আরকি! বিকেলে মা, কাকীমণি আর জ্যাঠিমণির সঙ্গে বের হব। আমাদের এখানে হালখাতার বিষয়টা নেই। এমনিই যাই, বিভিন্ন দোকান থেকে নিমন্ত্রণ থাকে।’

আর খাওয়া-দাওয়া?

খাওয়া-দাওয়া এক্কেবারে বাঙালি বাড়িতে নববর্ষে যেমন হয়, তেমনই। তবে খুব বেশি খাব না। এত্ত গরমে আমার বেশিকিছু খেতে ভালো লাগে না। তাই মাকে বেশি খাটাব না। আর যখনই বাড়ি আসি, তখন সবাই এত ডেকে ডেকে খাওয়ায়, যে মোটা হয়ে যাচ্ছি। তাই এবার এক্কেবারেই বেশিকিছু খাওয়া যাবে না। তাও গত কয়েকদিন টানা মটন খেয়ে ফেলেছি। তাই মেনু থেকে ওটা বাদ। নববর্ষের মধ্যাহ্নভোজে মাছ, চিকেন, এইসব থাকবে। আসলে ছোটবেলার দিনগুলি ফিরে পেতেই এখানে এসেছি। এখন তো কাজের চাপে সবই হারিয়ে ফেলছি।

তবে বরটার খুবই মন খারাপ, একসঙ্গে থাকতে পারলাম না। ওর খুবই কাজের চাপ যাচ্ছে। খুবই ব্যস্ত। তবে আমায় বলেছে, তুমি ফিরলে কোথাও একটা ঘুরতে নিয়ে যাব। আমিও বলেছি, ঠিকআছে তাই হবে।

আর কেনাকাটা?

কেনাকাটা নিজে করার থেকে অনেককিছু পেয়েছি। কারণ, আমাদের সবে তো রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছে। তাই এটাই প্রথম বছর। তাই পাওনা এতই হচ্ছি, নিজেকে কিছু কিনতে হচ্ছে না। মা বলেছে, সোনার কিছু একটা দেবে, সেটা আজই পাব। আর কাকিমণিও সোনার কিছু একটা দেবে। আর জামাকাপড় তো আমার অনুরাগীরাই অনেক কিছু পাঠিয়েছেন। নতুন বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে এত্ত উপহার পাচ্ছি, যে কী বলব! শাড়ি, চুড়িদার, গয়না, আরও কত কী! আমাকে আপাতত কিছুই কিনতে হচ্ছে না।

আর বরের উপহার?

ও তো দিয়েই যাচ্ছে, তার জন্য অকেশন লাগে না। যখন যেখানে ঘুরতে যায়, রাস্তায় বের হয়, কিছু না কিছু আমার জন্য আনবেই। ও আমাকে অনেক ছোট ছোট পুতুল দেয়, আমি ভালোবাসি বলে। এই কয়েকদিন আগেই ৯ মাস হল, তখন ১২ মাসের ১২টা গোলাপ আর ছোট্ট টেডি বিয়ার দিয়েছে। যেহেতু আমি ওর থেকে অনেকটা ছোট, জানে, আমি পুতুল ভালোবাসি, তাই ও কিনতেই থাকে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনও তাই, ছোট ছোট নানান জিনিস কিনে আনে। ক্লিপ, টিপের পাতা, এসব, ছোট ছোট উপহারেই আমি খুশি। মাসি শাশুড়ি একটা শাড়ি দিয়েছেন, ওটাই ১লা বৈশাখে পড়ব।

আর আমি এখনও কিনি নি, তবে আমি বাবা আর বরের জন্য পাঞ্জাবি কিনব, মাায়ের জন্যে শাড়ি অর্ডার করা আছে, এখনও এসে পৌঁছায়নি।

সামাজিক বিয়েটা কবে হচ্ছে?

ডেট পেলেই করে নেব। ডেটই পাচ্ছি না। একটা ডেট পেয়েছিলাম, তবে আমার বোন-ভাইদের পরীক্ষা, তাই ওইদিন করতে পারব না। তবে ২০২৫-এই করব, তবে কোন মাস সেটা ঠিক হয়নি। দেখি কালই তো নববর্ষে পঞ্জিকা বের হবে, তখনই ডেট দেখা হবে।

(Feed Source: hindustantimes.com)