আইএফএ-র কাছে নির্বাসন তুলে নেওয়ার আর্জি ফিক্সিংয়ে নাম জড়ানো উয়াড়ি ও টালিগঞ্জের

আইএফএ-র কাছে নির্বাসন তুলে নেওয়ার আর্জি ফিক্সিংয়ে নাম জড়ানো উয়াড়ি ও টালিগঞ্জের

ফিক্সিংকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে কলকাতা লিগের দুই ক্লাবের। যার জেরে নির্বাসিত করা হয়েছে দুই ক্লাব উয়াড়ি এবং টালিগঞ্জকে। নির্বাসিত করা হলেও এখনও তার আসল কারণ স্পষ্ট করে কিছুই বলতে পারেনি আইএফএ,দাবি করেছিলেন দুই ক্লাব কর্তারাই। গত বছরের কলকাতা লিগের তিনটি ম্যাচ নিয়েই মুলত চর্চা চলছে । যেখানে একটি দলের ম্যাচ ড্র হয়। অপর একটি দলের ক্ষেত্রে অভিযোগ, তাঁরা দুটি ম্যাচে হেরে যায়।

এআইএফএফ-র তরফে কদিন আগেই আইএফএ-তে মেল এসে পৌঁছায়। যেখানে দাবি করা হয়, বিভিন্ন ক্লাবের কাছে ফিক্সিংয়ের জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে বিদেশের জনৈক ব্যক্তি। এরপর লিগের দুই ক্লাবের নাম জড়ানোয় গভার্নিং বডিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই ক্লাবকেই সাময়িক নির্বাসিত করা হয়। পুলিশের কাছে আগেই দেওয়া হয়েছে তদন্তভার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দুই ক্লাবের বিপক্ষে তদন্ত শেষ হয়নি। ফলে ক্লাব সদস্যদের প্রশ্ন, যদি পাঁচ বছরেও তদন্ত শেষ না হয়, তাহলে তো অবনমন হতে হতে কলকাতার লিগের দল পঞ্চম ডিভিশনে চলে যাবে, তাহলে এর দায় কে নেবে?

আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত ক্লাবগুলোকে নির্বাসনের পক্ষে ছিলেন না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তবেই ক্লাবগুলোকে নির্বাসন করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এআইএফএফ-র মেল পাওয়ার পর কোনও সময় নষ্ট না করে আইএফএ দুই ক্লাবকেই সাময়িক নির্বাসিত করে। জানিয়ে দেওয়া হয়, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ক্লাবগুলো আইএফএর কাছে নির্বাসনের বিপক্ষে আর্জি জানাতে পারে। আবেদন জানানো হলে, তবেই একমাত্র বিষয়টি নিয়ে আইএফএর গভার্নিং বডিতে আলোচনা হওয়া সম্ভব। জানা যাচ্ছে, এরপরই ক্লাবের তরফ থেকে আইএফএর কাছে নির্বাসন তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়।

দুই ক্লাবই দাবি করেছে তাঁরা নির্দোষ। এখানে ফিক্সিংয়ের কোনও প্রশ্নই নেই। এমনকি আগামী মরসুমের জন্য দল গড়াও শুরু করে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। উয়াড়ি এবং টালিগঞ্জ, দুই ক্লাবের একটা ইতিহাস আছে। বহু তারকাই উঠে এসেছেন এই দলগুলো থেকে যারা পরবর্তীতে দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন। সেখানে কলকাতা লিগের আসরে গড়াপেটার মতো অভিযোগ আসায় লজ্জিত ক্লাবকর্তারা। টালিগঞ্জ দল একবার জাতীয় লিগেও খেলেছে। ফলে দুই ক্লাবেরই সম্মানহানি হচ্ছে এই নির্বাসনের ফলে, মনে করছেন সদস্যরা।

অবশ্য উয়াড়ি ক্লাবের ভিতরই রয়েছে অন্তর্কলহ। দীর্ঘদিন এজিএম হয়না বলে দাবি ক্লাবের পুরোনো সদস্যদের। নির্বাসন এড়াতে কি পদক্ষেপ নিয়েছে ক্লাব, জানতে চেয়েছেন অতীতে ক্লাবের সঙ্গে জড়িত কর্তারা। নির্বাসনের বিষয়টিতে স্বচ্ছতা নেই বলেও দাবি করেছেন এক কর্তা।

(Feed Source: hindustantimes.com)