একদা বামমনস্ক থেকে যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী,সায়নী বললেন ‘লাল কাপড়টা এখন শুধু…’

একদা বামমনস্ক থেকে যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী,সায়নী বললেন ‘লাল কাপড়টা এখন শুধু…’

একসময় বামমনস্ক বলেই পরিচিত ছিলেন সায়নী ঘোষ। তবে সেসবই এখন অতীত। গত বিধানসভার ভোটের আগে থেকেই সায়নীর নামের সঙ্গে জুড়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের নাম। এই মুহূর্তে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেন সায়নী। যে যাদবপুর একসময় বামেদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল, সেই যাদবপুর এখন তৃণমূলের দখলে। শেষ লোকসভা ভোটেও মিমি চক্রবর্তীর হাত ধরে যাদবপুর তৃণমূলের দখলেই ছিল। আর এবার সেই কেন্দ্রেই তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়ছেন সায়নী ঘোষ। এবারও কি সায়নী এই আসনটি তৃণমূলের দখলে ধরে রাখতে পারবেন?

‘যাদবপুর তো বামদুর্গ?’ প্রচারে নেমে এই প্রশ্নের মুখেই পড়তে হল সায়নী ঘোষকে। উত্তরে কী বললেন সায়নী?

নাহ, উত্তরটা দিতে সময় নেননি সায়নী ঘোষ। বলেন, ‘লাল কাপড়টা এখন শুধু বিরিয়ানির হাঁড়িতে দেখা যায়। এত যে লাল দুর্গ বলা হয়, সেটা শুধু সংবাদমাধ্যমেই রয়েছে। রেজাল্টে তার প্রতিফল হয় না।’ পরে ফের প্রশ্ন ছুড়ে সায়নী বলেন, ‘এত যে লাল দুর্গের কথা বলেন, তবে তো বিধানসভা ভোটেই এর প্রতিফলন ঘটতে পারত। লোকসভা তো পরের কথা। দিল্লি দূর হ্যায়। মানুষ সিপিএমের থেকে এখন দূরে সরে গিয়েছে।’

সোমবার রাতে সায়নী যখন যাদবপুরে প্রচারে বের হন, তখন তাঁর পাশেই ছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় কাউন্সিলর। হুড খোলা গাড়িতে রোড শো করেন তিনি।

১৯৬০ থেকে ১৯৮৪, টানা ২৪ বছর সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি ছিল যাদবপুর। ১৯৮৪ সালে পালা বদল হয়। বামেদের সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে লোকসভা সাংসদ নির্বাচিত হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ফের ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৬ সালে মালিনী ভট্টাচার্যের হাত ধরে যাদবপুর সিপিএমের দখলে যায়। ১৯৯৬ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত ফের পালাবদল হয় যাদপুর লোকসভা থেকে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের কৃষ্ণা বসু। ফের ২০০৪-এ যাদবু লোকসভা দখল করে সিপিএম, সাংসদ নির্বাচিত হন সুজন চক্রবর্তী। এরপর ২০০৯ থেকে আবারও যাদবপুর তৃণমূলের দখলে রয়েছে।

এদিকে এবার যাদবপুরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষের বিপরীতে ভোটে লড়ছেন সিপিএমের সৃজন ভট্টচার্য। সৃৃজনকে সিপিএম প্রার্থী করা প্রসঙ্গে সায়নী বলেন, ‘বামেদের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে, যে তাঁরা নতুন ছেলেমেয়েদের সুযোগ দিচ্ছে। এটা ভালো। তবে ওই দলের প্রতি আর মানুষের আস্থা নেই।’

এদিকে গত ১০ মার্চ থেকে ভোট প্রচার শুরু করেছেন সায়নী। টানা ৩৫-৩৬ দিন হল তিনি প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। সে অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে সায়নী বলেন, ‘একটা ঘোরের মধ্যে আছি, চেষ্টা করছি, যতটা সম্ভব মানুষের পাশে থাকা যায়।’

(Feed Source: hindustantimes.com)