৩০০ ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ইরানের, মাঝ আকাশেই সব ঠেকিয়ে দিল ইজরায়েল, এই উপায়ে…

৩০০ ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ইরানের, মাঝ আকাশেই সব ঠেকিয়ে দিল ইজরায়েল, এই উপায়ে…

নয়াদিল্লি: দীর্ঘ সাত মাস ধরে ইজরায়েল বনাম হামাস যুদ্ধ চলছে। সেই আবহেই আরও উত্তাপ বাড়ল পশ্চিম এশিয়ায়। এবার ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালাল ইরান। শনিবার ভোররাতে তেহরান থেকে ঝাঁক ঝাঁক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে। ইজরায়েলের দাবি, ইরান থেকে ৩০০-র বেশি ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্বয়ংক্রিয় রকেট ছোড়া হয়, যার ৯৯ শতাংশই প্রতিহত করা গিয়েছে। (Israel Iran War)

ইজরায়েলের দাবি, ইরানের হামলা ঠেকাতে সফল হয়ছে তারা। ইরান ১৭০টি ড্রোন, ৩০টির বেশি স্বয়ংক্রিয় রকেট এবং ১২০টির বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। এর মধ্যে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ইজরায়েলের মাটিতে আঘাত হানে, তাতে অল্পবিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। দক্ষিণ ইজরায়েলে সাত বছরের এক বালিকা আহত হয়েছে। তবে ইরানের ছোড়া বেশিরভাগ অস্ত্রই ঠেকানো গিয়েছে। (Israel Iran Conflict)

ইজরায়েলের কাছে বিশেষ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি রয়েছে, যা ব্যবহার করে শত্রুপক্ষের রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া যায়। পাশাপাশি সেখানে মোতায়েন আমেরিকার সেনার প্রযুক্তিও রয়েছে। দুই দেশের সেনার চেষ্টাতেই ইরানের ছোড়া রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে প্রতিহত করা গিয়েছে। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের মুখপাত্র ড্য়ানিয়েল হেগারির কথায়, “এটা আমাদের কৌশলগত সাফল্য।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও পর্যন্ত যে সব ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে ইজরায়েলের হাতে থাকা Aarrow Defence System এবং Iron Dome System-কে আক্রমণ ঠেকাতে দেখা গিয়েছে। রাতের আকাশে ইরান থেকে উড়ে আসা ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে মাঝ আকাশেই ধ্বংস হয়ে যেতে দেখা গিয়েছে।

আমেরিকার সহযোগিতায় আটের দশকে Aarrow Defence System গড়ে তোলার কাজে হাত দেয় ইজরায়েল। ২০০০ সালে সেটি সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়। এর আওতায়, শত্রুপক্ষের ছোড়া ভূমি থেকে ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া যায়। পাশাপাশি, Iron Dome System-ও রয়েছে ইজরায়েলের হাতে, যা এক সঙ্গে ২০টির বেশি ড্রোন এবং স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবিধি বুঝে তার মোকাবিলা করতে পারে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, আমেরিকার সেনা ইজরায়েলকে সবরকম ভাবে সাহায্য় করেছে। ইরানের ছোড়া প্রায় সমস্ত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকেই প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে পারস্পরিক সহযোগিতায়। তবে সংঘাতের শেষ এখানেই নয়, ইজরায়েল পাল্টা জবাব দিতে তৈরি বলেও জানিয়েছে ইজরায়েলি সেনা।

ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলাকালীনই গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইজরায়েল, তাতে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়। সেই সময়ই ইজরায়েলে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল ইরান। আমেরিকা মধ্যস্থতার চেষ্টা করলেও, শেষ পর্যন্ত শনিবার ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় তারা। ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে বেশ কয়েক দশক ধরেই সংঘাত চলছে। তবে এই প্রথম ইজরায়েলের মাটিতে হামলা চালাল ইরান।

(Feed Source: abplive.com)