Champions League: ১০ জনের বার্সেলোনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে PSG

Champions League: ১০ জনের বার্সেলোনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে PSG

শুভব্রত মুখার্জি:- এখনও পর্যন্ত ক্লাব ইতিহাসে একবারও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেতাব জিততে পারেনি ফ্রান্সের জনপ্রিয় ক্লাব পিএসজি। ফাইনালে পৌঁছেও অধরা থেকে গিয়েছে খেতাব।নেইমার, মেসিরা ক্লাবে থাকাকালীনও আসেনি খেতাব। তবে সেই অধরা খেতাবের আশা এই মরশুমে কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখল পিএসজি।

প্রথম লেগে পিছিয়ে ছিল। দ্বিতীয় লেগে ১০ জনে খেলা বার্সেলোনাকে তারা হারিয়ে দিয়েছে। পৌঁছে গিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে।প্রথম লেগে পিএসজিকে হারিয়েছিল বার্সেলোনা। সেই জয়ের আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে ফিরতি লেগে খেলতে নেমেছিল তারা। দ্বিতীয় লেগের শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। তবে এরপরেই দ্রুত পট পরিবর্তন ঘটে। দুর্দান্ত লড়াই শুরু করে পিএসজি। বার্সেলোনার একজন ফুটবলার কম থাকার সুযোগকে কাজে লাগায় তারা। ক্রমাগত আক্রমণে বাড়ায় চাপ। আর তাতেই শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে তারা।

পিছিয়ে থেকেও কোয়ার্টার ফাইনালে অনবদ্য কামব্যাক করল পিএসজি।আর তা করেই তারা চলে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে। লুই এনরিকের ছেলেরা কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মঙ্গলবার রাতে বার্সেলোনার মাঠে গিয়ে জিতল ৪-১ গোলে। একটা সময়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল পিএসজি। শেষ পর্যন্ত ৬-৪ গোলের ব্যবধানে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল তারা।

দ্বিতীয় লেগে রাফিনিয়া প্রথমেই বার্সেলোনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। তবে এরপরেই বার্সেলোনার সমস্যার শুরু হয়। ম্যাচের আধ ঘন্টা শেষ হওয়ার আগেই লাল কার্ড দেখেন তাদের ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহো। এরপর প্রথমার্ধেই পিএসজির হয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান উসমান দেম্বেলে। দ্বিতীয়ার্ধে ভিটিনিয়া দলকে লিড এনে দেন।এরপর পিএসজির হয়ে জোড়া গোল করে বার্সেলোনার কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন কিলিয়ান এমবাপে। এদিনের ম্যাচে আরাউহোর পাশাপাশি বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেস এবং সাপোর্ট স্টাফের এক সদস্য লাল কার্ড দেখেন।

প্রসঙ্গত প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে গিয়ে ৩-২ গোলে জিতেছিল বার্সেলোনা। দ্বিতীয় লেগেও তারা লিড নেওয়ার ফলে ব্যবধান দাঁড়িয়েছিল ৪-২। ফলে পিএসজিকে এই টাইতে জিততে গেলে অন্ততপক্ষে আরো তিনটি গোল করতেই হত। দিনশেষে তারা চারটি গোল করে বাজিমাত করে। এই ম্যাচে হারের আগে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সেলোনা ১৩ ম্যাচ অপরাজিত ছিল। তাদের সেই সফর শেষ হয়ে গেল এদিন।

এদিন ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় বার্সা। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই এগিয়ে যায় তারা। লামিনে ইয়ামাল ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে কাট-ব্যাক করেন। সেখান থেকে বল পেয়েই ভলিতে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন রাফিনিয়া। ঘটনাচক্রে বার্সার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে এটি ছিল ৬০০তম গোল।

ম্যাচের ২৯ মিনিটের মাথাতে বক্সের বাইরে বিপজ্জনক জায়গায় পিএসজির বারকোলাকে জঘন্য ফাউল করে বসেন আরাউহো। তাঁকে রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান। ফলে বাধ্য হয়ে রক্ষণে শক্তি বাড়াতে তরুণ ফরোয়ার্ড ইয়ামালকে তুলে ডিফেন্ডার ইনিগো মার্টিনেসকে নামায় বার্সা। এমন আবহে ৪০তম মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরায় পিএসজি। গোল করেন দেম্বেলে। ডান পায়ের শটে দুরন্ত গোল করেন দোম্বেলে। বিরতিতে যাওয়ার সময়ে খেলার ফল ছিল ১-১।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোল করে দলকে লিড এনে দেন ভিটিনিয়া। এর একটু পরেই লাল কার্ড দেখেন বার্সা কোচ জাভি। এরপর ৬১তম মিনিটে জোয়াও ক্যানসেলোকে ফাউল করাতে পেনাল্টি পায় পিএসজি। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপে। এর ফলে স্কোরলাইন ৩-১ হয়। ৮৯তম মিনিটে কাছ থেকে শটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে দলের জয় নিশ্চিত করেন এমবাপে। সেমিফাইনালে পিএসজির প্রতিপক্ষ জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।

(Feed Source: hindustantimes.com)