বার বারই বলা হয় বাঙালিরা নাকি সর্বভারতীয় পরীক্ষায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। তবে তার ব্যতিক্রমও আছে। উত্তর ২৪ পরগনার ব্রততী দত্ত। আর শ্রীরামপুরের অনুষ্কা সরকার। ইউপিএসসিতে সর্বভারতীয় স্তরে অনুষ্কার স্থান ৪২৬। আর ব্রততীর স্থান ৩৪৬। এবার এই মেধাবী ও কৃতী কন্যারা কীভাবে নিজেদের তৈরি করেছেন সেটা জেনে নেওয়া যাক।
বাণীপুরের জওহর নবোদয় বিদ্যালয় থেকে পাশ করেছিলেন ব্রততী দত্ত। ওড়িশা ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে মাস্টার্স। আর সেখানে পড়ার সময়ই ইউপিএসসিতে বসবেন বলে ঠিক করে নেন। ২০২২ সালে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টারে কোচিং নেন তিনি। আর সেখানেই তিনি আরও বলিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। তবে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার কারণে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম খুলতেন না। তবে পড়াশোনার জন্য় হোয়াটস অ্য়াপ, টেলিগ্রাম, ইউটিউব দেখেছেন।
একেবারে যে প্রচন্ড মেধাবী, একেবারে ক্লাসের সেরা ছাত্রী তেমনটা ভাবতে তিনি রাজি নন। তবে একাগ্রতা, পরিশ্রম আর একটু বুদ্ধি করে পড়াশোনা তার জেরেই সাফল্য ধরা দিয়েছে তার কাছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে যে স্টাডি সেন্টার সেখানেই পড়াশোনা করেছেন তিনি। আর তাতেই সাফল্য। একাধিক আইএএস, আইপিএস তাঁকে টিপস দিয়েছেন। এতে আরও সফল হয়েছেন তিনি।
ইন্টারভিউতে তাঁকে নানা ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছিল? বলা হয়েছিল অ্যালেক্সার নাম শুনেছ? সুন্দরবনে যদি তোমাকে ডিএম বা এসপি করা হয় তবে তুমি কি স্টেপ নেবে? এমনই প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে?
তবে সেসব প্রশ্নবাণ সামলে আজ তিনি ইউপিএসসিতে সফল।
সফল হয়েছেন অনুষ্কা সরকার।
সেন্ট জোসেফ কনভেন্টের ছাত্রী অনুষ্কা সরকার। লেডি বেবোর্ন কলেজ থেকে তিনি ভূগোল নিয়ে বিএসসি করেন। রৌরকেল্লা এনআইটি থেকে মাস্টার্স। তিনিও সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টারে কোচিং নেন।
মাস্টার্স করার সময় যে হস্টেলে ছিলেন সেখানেই থাকতেন ইউপির এক বন্ধু। তার কাছ থেকেই ইউপিএসসির কথা জানতে পারেন। এরপর শুরু হল প্রস্তুতি। চারবারের চেষ্টায় সফল হয়েছেন তিনি। তিনবার কয়েক নম্বরের জন্য় প্রিলি ক্লিয়ার করতে পারেননি। হতাশা গ্রাস করেছে। ফের তিনি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর পরামর্শ, বার বার চেষ্টা করার পরেও সফল না হলে হতাশা আসতে পারে। তবে সেটাকেই সব শেষ বলে ভেঙে পড়লে চলবে না। নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে হবেই।
(Feed Source: hindustantimes.com)