ইংলিশ প্রিমিয়র লিগে নিজেদের দোষেই পিছিয়ে পড়েছে লিভারপুল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাঁরা নেই। ছিল ইউরোপা লিগে। সেখান থেকেও বিদায় হয়ে গেল অ্যানফিল্ডের ক্লাব দলটির। ঘরের মাঠে প্রথম লেগে তিন গোল হজম করায় তখনই বোঝা গেছিল ঠিক কি অপেক্ষা করছে। কিন্তু অতীতে পিএসজি বা বার্সেলোনা যা করে দেখিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে, যদি সেরকম কিছু একটা ইউরোপা লিগে ঘটাতে পারল লিভারপুল, তাহলে বিষয়টা অন্যরকম হলেও হতে পারত। কিন্তু সেসব কিছু হল না। ৩-০ হারের ব্যবধানের পাল্টা হিসেবে অ্যাটালান্টার ঘরের মাঠে গিয়ে তাঁদের ১-০ গোলে হারাল য়ুরগেন ক্লপের দল।
ম্যাচের ৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিেন মিশরের ফুটবলার মহম্মদ সালাহ। কিন্তু এরপর বাকি ৮৩ মিনিটে আর একটিও গোলের দেখা পায়নি ক্লপের দল। ফলে অ্যাগ্রিগেটের বিচারে ৩-১ ফলে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালে গেল ইতালির ক্লাব দলটি। ম্যাচের শেষে ক্লপ বললেন, ‘কাজটা কঠিন ছিল। তবুও দল জিতেছে। কিন্তু ১০০ শতাংশ যোগ্য দল হিসেবেই পরের রাউন্ডে গেল অ্যাটালান্টা’।
লিভারপুুল ছিটকে গেলেও জার্মান ফুটবলের ইতিহাসে বেয়ার লেভারকুসেনের হয়ে সোনালি ইতিহাস তৈরি করা জাভি আলোনসো নিরাশ করলেন না সমর্থকদের। তিনি দলকে তুললেন ইউরোপা লিগের শেষ চারে। তাও বুন্দেস লিগা জয়ের কয়েকদিন পরেই। ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকে প্রথম লেগের ম্যাচে ২-০ হারিয়েছিল লেভারকুসেন। আওয়ে ম্যাচেও ৯০ মিনিট শেষে অপরাজিত রইল আলোনসোর দল। ১-১ গোলে ম্যাচ শেষ হল। অ্যান্তোনিওর গোলে শুরুতে এগিয়ে গেছিল ইংল্যান্ডের ক্লাব দলটি। ফ্রিমপং গোল করে বেয়ার লেভাকুসেনকে সমতায় ফেরান।
ইতালির দুই ক্লাব এএস রোমা এবং এসি মিলান মুখোমুখি হয়েছিল ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে। সেখানে এসি মিলানকে হারিয়ে শেষ চারের টিকিট পাকা করল রোমা। মিলানের বিপক্ষে রোমার হয়ে গোল করেন মানচিনি এবং দিবালা। মিলানের গোলদাতা গাবিয়া।
পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকাকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ইউরোপা লিগের শেষ চারে পৌঁছাল মার্সেইলি। ফরাসি ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে একমাত্র গোলটি করেন মৌমবাগনা। দুই লেগ মিলে দুই দলেরই অ্যাগ্রিগেট দাঁড়ায় একই জায়গায়। অতিরিক্ত সময়ের শেষে স্কোরলাইন না বদলানোয় ম্যাচ টাইব্রেকারে যায়। সেখানে ৪-২ গোলে বেনফিকাকে হারিয়ে শেষ চারের টিকিট পাকা করে ফেলে ফরাসি ক্লাব দল।
(Feed Source: hindustantimes.com)