এক গ্রাসে ৩৩ সূর্যকে গিলে খাবে! মহাকাশে বিরাট ব্ল্যাক হোল! জানেন এর নাম কি?

এক গ্রাসে ৩৩ সূর্যকে গিলে খাবে! মহাকাশে বিরাট ব্ল্যাক হোল! জানেন এর নাম কি?

মহাকাশে সবচেয়ে বড় ব্ল্যাক হোল খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এক ধাক্কায় ৩৩ টি সূর্যকে অদৃশ্য করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এটির।মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মিল্কিওয়েতে আবিষ্কৃত বৃহত্তম নাক্ষত্রিক ব্ল্যাক হোল শনাক্ত করেছেন, যার ভর সূর্যের ৩৩ গুণ বেশি।

এর নাম দেওয়া হয়েছে গায়া বিএইচথ্রি (Gaia BH3)। গায়া টেলিস্কোপের আবিষ্কার এটি। গায়ার টেলিস্কোপই গ্যালাক্সির প্রথম দুটি সুপ্ত ব্ল্যাক হোল (গায়া বিএইচওয়ান এবং গায়া বিএইচটু) চিহ্নিত করেছিল। গায়া গত ১০ বছর ধরে পৃথিবী থেকে ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে কাজ করছে। গত ২০২২ সালে ১.৮ বিলিয়ন তারার অবস্থান এবং তাদের গতির থ্রিডি মানচিত্র সরবরাহ করে গায়াই।

  • কীভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে গায়া বিএইচথ্রি

অবজারভেটোয়ার ডি প্যারিসের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চের (সিএনআরএস) একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী পাসকুয়েল পানুজো এএফপি বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, এই ব্ল্যাক হোলটি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির গায়া মিশনের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য থেকে আবিষ্কার করা হয়েছে। তাই এটির নাম দেওয়া হয়েছে গায়ার নামানুসারেই। গায়া, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির বৃহত্তম ব্ল্যাক হোল, অ্যাকিলা নক্ষত্রমণ্ডলে পৃথিবী থেকে বিএইচথ্রি ২,০০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। যেহেতু গায়ার টেলিস্কোপ আকাশে তারার সুনির্দিষ্ট অবস্থান প্রদান করতে পারে, তাই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তাদের কক্ষপথ চিহ্নিত করতে এবং তারার অদৃশ্য সহচরের ভর পরিমাপ করতে পেরেছিল, সেখান থেকেই আবিস্কার হয়েছে সূর্যের ভরের ৩৩ গুণ এই ব্ল্যাক হোল।

যাইহোক বিজ্ঞানী পানুজো একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেছেন যে, স্থল-ভিত্তিক টেলিস্কোপগুলি থেকে আরও পর্যবেক্ষণগুলি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে এমনই এটি একটি ব্ল্যাক হোল যার ভর পূর্বে গ্যালাক্সিতে বিদ্যমান যে কোনও নাক্ষত্রীয় ব্ল্যাক হোলের চেয়ে অনেক গুণে বেশি। কেউই আজ পর্যন্ত এই উচ্চ-ভরের ব্ল্যাক হোল খুঁজে পাওয়ার আশা করেনি। এই ধরনের আবিষ্কার গবেষণা জীবনে একবারই করা যায়। বিজ্ঞানীরা যখন ব্ল্যাক হোলের চারপাশে ঘুরে বেড়ানো সহচর নক্ষত্রের উপর গতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তখনই আবিষ্কৃত হয়েছে নাক্ষত্রিক ব্ল্যাক হোলটি। পানুজো বলেছিলেন, সূর্যের চেয়ে সামান্য ছোট একটি নক্ষত্রকে তাঁরা অনেক বেশি উজ্জ্বল, অদৃশ্য সঙ্গীর চারপাশে ঘুরতে দেখেছিলেন। ওই অদৃশ্য সঙ্গীই ছিল গায়া বিএইচথ্রি।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিএইচথ্রি হল একটি প্যাসিভ ব্ল্যাক হোল, এটি তার সহযোগী নক্ষত্র থেকে এতটাই দূরে রয়েছে যে এর কোনও এক্স-রে নির্গত করে না। তাই এই ব্ল্যাক হোলগুলো খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিনই। এর আবিষ্কার নিশ্চিত করার জন্য, গায়া সহযোগিতা চিলির আতাকামা মরুভূমিতে অবস্থিত ESO-এর VLT-তে অতিবেগুনী এবং ভিজ্যুয়াল ইচেল স্পেকট্রোগ্রাফ যন্ত্র সহ স্থল-ভিত্তিক মানমন্দির থেকে ডেটা ব্যবহার করেছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)