অলিম্পিক্সে যখন ভারতের টার্গেট বাড়ানোর লক্ষ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক। তখন একের পর এক সমস্যা তৈরি হচ্ছে ভারতীয় প্রতিযোগীদের মধ্যে। এমনিতে গতবছর থেকেই কুস্তির অন্দরমহলে যৌন নিগ্রহকাণ্ডে কম জলঘোলা হয়নি। শুক্রবার অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনপর্বে নামতে পারেননি দীপক পুনিয়ারা। তাঁদের বিমান দুবাইতে বর্ষণের কারণে নির্দিষ্ট সময় ছাড়তে পারেনি। এরই মধ্যে ভারতীয় শ্যুটিং ফেডারেশনের দিকেও তোপ দাগলেন প্রাক্তন শ্যুটার যশপাল রানা। তার মতে, এমনিতেই ভারতীয় প্রতিযোগীরা সময়ের থেকে পিছিয়ে রয়েছে অলিম্পিক্সের প্রস্তুতির ব্যাপারে। এখনও ফেডারেশন অলিম্পিক্সের জন্য তাদের নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি। কারা কারা অলিম্পিক্সে যাচ্ছেন, সেটা জানা গেলে খেলার প্রস্তুতিতে অনেক বেশি ফোকাস করা যায়। কিন্তু ফেডারেশন সময় অত্যন্ত কম দিচ্ছে শ্যুটারদের, দাবি করলেন ভারতের প্রাক্তন এই এশিয়ান গেমসের পদকজয়ী। অনেক দেরিতে ট্রায়াল হচ্ছে চলতি বছরে, ফলে ট্রায়ালের পরে প্রতিযোগীরা পর্যাপ্ত সময় পাবে না ট্রেনিংয়ের, দাবি যশপালের।
বিরক্তির সুরেই যশপাল বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালিসহ শ্যুটিংয়ের সেরা দলগুলো ইতিমধ্যেই তাঁদের প্যারিস অলিম্পিক্সের স্কোয়াড ঘোষণা করে দিয়েছে। ফলে তাঁরা এখন শুধুই নিজেদের স্কিল বাড়ানোয় জোর দিচ্ছে, ফাইনাল টাচ যাকে বলে’। পিস্তল এবং রাইফেল ইভেন্টে ভারতের প্রথম সারির শ্যুটাররা চারটি ট্রায়াল দেবে এপ্রিলের ১৯ থেকে ২৭ তারিখ এবং মে মাসের ১০ থেকে ১৯ তারিখ। এরপর নাকি অলিম্পিক্সের জন্য বাছাই করা হবে শ্যুটারদের। এদিকে জুলাই মাসে শুরু প্যারিস অলিম্পিক্স, দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। ঘুরিয়ে শ্যুটিং ফেডারেশনের কর্তাদের গাছাড়া মনোভাবকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন পদ্মশ্রী ও অর্জুন পুরস্কার পাওয়া এই প্রাক্তন শ্যুটার।
চারবারের এশিয়ান গেমস স্বর্ণ পদকজয়ী যশপাল রানা বলেন, ‘বিশ্বের বাকি দেশগুলো যেভাবে প্রস্তুতির সুবিধা পাচ্ছে, আমরা তা পাচ্ছি না। ওরা ইতিমধ্যেই নিজেদের স্কোয়াড গুছিয়ে নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। আমরা সেখানে পিছিয়ে রয়েছি। কারা যাবে বা কারা যাবে না, সেটা জানতে না পারলে শ্যুাটারদের ওপর মানসিক চাপ পড়ে’।
শ্যুটিংয়ের ক্ষেত্রে প্রতিযোগীরা দেশের জন্য অলিম্পিক্সের কোটা জিতে নিয়ে আসে। এরপর ট্রায়ালের দ্বারা নির্বাচিত হয় অলিম্পিক্সে অংশ নেবে কারা। এই নিয়ে রানা বলেন, ‘ আমি জীবনে প্রথমবার দেখছি আইএসএসএফের নিয়ম না মেনে আট জনের পরিবর্তে পাঁচজনকে নিয়ে ইভেন্ট চলছে। অন্তত নিয়মমাফিক আটজন প্রতিযোগী তো রাখা যেত, তিন জনকে জিরো শ্যুটার হিসেবে রাখা যেত। আমি এটা নিয়ে বলছি বলে হয়ত অনেকের অপছন্দের কারণ হব। কিন্তু চারটি ট্রায়াল শ্যুটারদের জন্য একটু বেশি হচ্ছে। তাঁদের অন্তত রেস্ট ও রিকভার করার সময়টা দেওয়া উচিত’। বিশ্রাম নিয়ে যশপাল রানার ক্ষোভের কারণ মানু ভকর, যিনি ভারতের অন্যতম সেরা শ্যুটার। যশপাল বর্তমানে তাঁর কোচ। ১০ মিটার Air Pistol এবং ২৫ মিটার Rapid Fire রাউন্ডে অংশ নেওয়ায় মানু ভকরকে মোট আটটি ট্রায়াল দিতে হবে। এশিয়ান গেমসের গোল্ড মেডেলিস্ট, এশা সিংয়ের ক্ষেত্রেও একই বিষয়।
(Feed Source: hindustantimes.com)