Vasuki: মিলল বিশালাকার ভারতীয় সাপের জীবাশ্ম! শিবের গলার বাসুকি নাগ তবে সত্যিই ছিল?

Vasuki: মিলল বিশালাকার ভারতীয় সাপের জীবাশ্ম! শিবের গলার বাসুকি নাগ তবে সত্যিই ছিল?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গুজরাটে এক ফসিল পাওয়া গিয়েছিল, যেটা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটিই হচ্ছে এ বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের জীবাশ্ম! ২০০৫ সালেই আইআইটি-রুরকি’র বিজ্ঞানীরা এই জীবাশ্মটি খুঁজে পেয়েছিলেন। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘বাসুকি ইন্ডিকাস’। এটাকে ‘জায়ান্ট স্নেক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানীরা। যে-সর্প প্রজাতিটিকে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন সেটি প্রায় ৫ কোটি বছরের পুরনো প্রজাতি বলে জানা গিয়েছে! এই প্রজাতির সাপটিকে ভারতের প্রাগৈতিহাসিক জীববৈচিত্র্যের অন্যতম বিশেষ নিদর্শন হিসেবে মেনে নিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

অধ্যাপক সুনীল বাজপেয়ী ও দেবজিত দত্তের নেতৃত্বে এই সংক্রান্ত নমুনা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, গবেষণা, সমীক্ষা ইত্যাদি হয়েছে। দেবজিত দত্ত বলেন, বাসুকি ছিল খুব ধীর চলনশক্তিসম্পন্ন ভারী শরীরের বিশাল আকারের এক সাপ। ঠান্ডা ভিজে জায়গায় থাকে এরা। অ্যানাকোন্ডা ও পাইথনের কায়দায় শিকার ধরে এরা। ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টে’ এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।

ভারতীয় পুরাণে বাসুকিকে নিয়ে নানা কাহিনি, নানা মিথ। ভগবান শিবের সঙ্গে বাসুকির নাম জড়িত। কেননা শিবের গলায় থাকেন বাসুকিই। আবার এই বাসুকি নাগই ছোট্ট শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে তাঁর বাবা যখন যমুনা পেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন উথাল-পাথাল বৃষ্টি থেকে তাঁদের রক্ষা করতে নিজের বিশাল ফনা ছাতার মতো ধরেছিলেন তাঁদের মাথার উপর। এই বাসুকি নাগকেই মৈনাক পাহাড়ে জড়িয়ে করা হয়েছিল সেই বিখ্যাত সমুদ্র মন্থন। এ-হেন বাসুকির যে-কল্পনা ভারতীয় সংস্কৃতিতে ছড়িয়ে আছে, তবে কি তার মধ্যে কিছু সারবত্তা আছে? কেননা, বাসুকি সাপের অনেক বৈশিষ্ট্যই তো একালে প্রাপ্ত সাপের জীবাশ্ম থেকে যে-সাপের ছবি বিজ্ঞানীরা আঁকছেন, তার সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে!

‘বাসুকি ইন্ডিকাসে’র সঙ্গে তুলনীয় একটি মাত্র সাপের কথাই জানা যাচ্ছে। তার নাম ‘টিটানোবোয়া’। এটি কলম্বিয়ার সাপ। ৬০০ লক্ষ বছর আগে এটি পৃথিবীতে ছিল। এর দৈর্ঘ্য ৪৩ ফুট পর্যন্ত হত। মোট কথা, বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা পরিষ্কার করে দিচ্ছে, কীভাবে বিশ্ব জুড়ে সাপের বিবর্তন ঘটেছে।

(Feed Source: zeenews.com)