ঋণ জালিয়াতি মামলায় ৪ বছর পর জামিন পেলেন ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও রানা কাপুর। এরপরেই তাঁকে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে নবি মুম্বইয়ের তালোজা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। ঋণ জালিয়াতির মামলায় রানা কাপুরকে ২০২০ সালের মার্চ মাসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করে। এছাড়াও সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে ৮টি জালিয়াতির মামলা দায়ের করেছিল।
গ্রেফতারের পর থেকে রানা কাপুর তালোজা জেলে বন্দি ছিলেন। এর আগে ৭টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছিলেন। শেষ মামলাতেও জামিন পাওয়ায় তাঁকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। যদিও এই মামলাগুলির বিচার প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক এম জি দেশপান্ডে রানা কাপুরকে জামিন দেন। আদালত জানায়, যেহেতু মামলাগুলির বিচার মুলতুবি রয়েছে তাই তাঁর জেলে থাকার আর প্রয়োজন নেই। রানা কাপুরের আইনজীবী তাঁর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, সিবিআই ২০২০ সালের মার্চ মাসে রানা কাপুর, তাঁর স্ত্রী বিন্দু কাপুর, অবন্তা গ্রুপের প্রোমোটার এবং শিল্পপতি গৌতম থাপার, ব্লিস অ্যাবোড প্রাইভেট লিমিটেড এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। অভিযোগ, রানা কাপুর ইয়েস ব্যাঙ্কের তৎকালীন সিইও হিসাবে তাঁর পদের অপব্যবহার করেছিলেন। তিনি একটি ঋণ অনুমোদন জন্য ঘুষ হিসেবে দিল্লির বিলাসবহুল জায়গায় একটি সম্পত্তি নিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, ব্লিস অ্যাবোড প্রাইভেট লিমিটেডটি রানা কাপুরের স্ত্রী বিন্দু কাপুর দ্বারা পরিচালিত। এর মাধ্যমে সম্পত্তি ৩৭৮ কোটি টাকায় কেনা হয়েছিল যেখানে সম্পত্তির বাজারদর ছিল ৬৮৫ কোটি টাকা। ইয়েস ব্যাঙ্ক সেই সময় অবন্তা গ্রুপকে ২৫০০ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছিল। রানা কাপুর সিইও হিসাবে ব্যাঙ্কের ম্যানেজমেন্ট ক্রেডিট কমিটির প্রধান ছিলেন। তিনি সেই ঋণ অনুমোদন করেছিল।
তাঁর জামিনের আবেদনে আইনজীবী দাবি করেন, সিবিআইয়ের যে চার্জশিট জমা দিয়েছে তাতে রানা কাপুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। কাপুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্পষ্ট। তিনি কখনই ঋণ লেনদেনের একমাত্র বা চূড়ান্ত অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ ছিলেন না। ব্যাঙ্কের ম্যানেজমেন্ট ক্রেডিট কমিটি যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
যদিও এই মামলায় প্রোমোটার গৌতম থাপারকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁকে আগাম জামিন দিয়েছিল আদালত। এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে আদালত রানা কাপুরের জামিন মঞ্জুর করে। এরপর নথিপত্র খতিয়ে দেখে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তালোজা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
(Feed Source: hindustantimes.com)