রিলসের নেশায় ডুবে নেই, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন না মাধ্যমিকের প্রথম ও দ্বিতীয়

রিলসের নেশায় ডুবে নেই, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন না মাধ্যমিকের প্রথম ও দ্বিতীয়

একজন মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে। অপরজন হয়েছে দ্বিতীয়। আর দু’জনেই সোশ্যাল মিডিয়া এড়িয়ে চলে। কেউই ডুবে থাকে না রিলসের নেশায়। বরং পড়াশোনার উপর জোর দিয়েছে। ফাঁকা সময় নিজেদের ভালোবাসার কাজ করেছে বলে জানাল অসমের মাধ্যমিকে প্রথম জোরহাটের প্রজ্ঞা অ্যাকাডেমি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র অনুরাগ দলৈ এবং বিশ্বনাথের চরিয়ালির শংকরদেব শিশু বিদ্যানিকেতনের ঝর্ণা সাইকিয়া। মাধ্যমিকে ৫৯৩ নম্বর পেয়েছে অনুরাগ। ভবিষ্যতে সে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। আর ঝর্ণার লক্ষ্য হচ্ছে যে বড় হয়ে ডাক্তার হবে। এবারের মাধ্যমিকে সে পেয়েছে মোট ৫৯০ নম্বর।

অসমের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল

শনিবার অসমের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। চলতি বছর মোট ৪,২৫,৯৬৬ জন পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিল। শেষপর্যন্ত পরীক্ষা দিয়েছিল ৪,১৯,০৭৮ জন। ছাত্রের সংখ্যা ছিল ১,৮৭,৯০৪। ছাত্রীর সংখ্যা ২,৩১,১৬৪ ছিল। ট্রান্সজেন্ডার পড়ুয়া ছিল ১০ জন। এবার সার্বিকভাবে অসমের মাধ্যমিক পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৭৫.৭ শতাংশ। ছাত্রদের পাশের হার ৭৭.৩ শতাংশ, সেখানে ৭৪.৪ শতাংশ ছাত্রী মাধ্যমিকে পাশ করেছে। ট্রান্সজেন্ডার পড়ুয়াদের পাশের হার ৮০ শতাংশে ঠেকেছে।

অসমের মাধ্যমিক পরীক্ষার মেধাতালিকা

এবার শীর্ষস্থানাধিকারী পাঁচজনের (প্রথম তিনটি স্থানে পাঁচজন আছে) নাম ঘোষণা করা হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায়. মোট ৩,১৭,৩১৭ জন পাশ করেছে। প্রথম ডিভিশনে ১,০৫,৮৭৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। দ্বিতীয় ডিভিশন পেয়েছে ১,৫০,৭৬৪ জন। তৃতীয় ডিভিশনে ৬০,৬৮০ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে লেটার পেয়েছে ১,৯৩,১৫৯ জন। এবার মাধ্যমিকের মেধাতালিকা –

১) অনুরাগ দলৈ, প্রজ্ঞা অ্যাকাডেমি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল, ৫৯৩ নম্বর।

২) ঝর্ণা সাইকিয়া, শংকরদেব শিশু বিদ্যানিকেতন, ৫৯০ নম্বর।

৩) মানসপ্রতীম সাইকিয়া, কমলাবাড়ি, আইল্যান্ড অ্যাকাডেমি ৫৮৮ নম্বর।

৪) বেদান্ত চৌধুরী, সরুপেটার স্টেলা মেরিজ স্কুল ৫৮৮ নম্বর।

৫) দেবশ্রী কাশ্যপ, রামানুজন সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল, ৫৮৮ নম্বর।

অসমের মাধ্যমিক পরীক্ষায় জেলাভিত্তিক পাশের হার

১) চিরাং: ৯১.২ শতাংশ।

২) নলবাড়ি: ৮৮.১ শতাংশ।

৩) বাকসা: ৮৬.৯ শতাংশ।

(Feed Source: hindustantimes.com)