ব্রততী দত্ত। এই নামটাকে ঘিরে গর্বিত গোটা উত্তর ২৪ পরগনা। আসলে একেবারে মধ্য়বিত্ত পরিবারের সন্তান ব্রততী দত্ত। সেই পরিবারের কন্যাই এবার ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৩৪৬ স্থান অর্জন করেছেন। সেই নিতান্ত মধ্য়বিত্ত পরিবারের কন্য়াই স্বপ্ন দেখেছিলেন আএএস হওয়ার। আর সেই স্বপ্ন পূরণের সবথেকে বড় পরীক্ষাটায় টপকে গিয়েছেন ব্রততী। গর্বিত তাঁর পরিবার। গর্বিত গোটা বাংলা।
বাঙালি নাকি সর্বভারতীয় পরীক্ষায় কিছু করতে পারে না। বাঙালি নাকি অলস। এমন নানা তকমা জুটে গিয়েছে বাঙালির সঙ্গে। তবে সেসব বদনামকে হেলায় হারিয়ে দিয়েছেন ব্রততী। ব্রততীর বাবা গৌরহরি দত্ত এক চিকিৎসকের কাছে কম্পাউন্ডার হিসাবে কর্মরত। মা রাজ্য সরকারের কর্মচারী। তবুও স্বপ্নটাকে তিল তিল করে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আর সেই স্বপ্নই আজ মহীরুহ হয়ে উঠেছে।
২০২১ সাল থেকে তিনি ইউপিএসসির জন্য় প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তখন তিনি স্নাতোকত্তোর পড়েন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টারে পড়াশোনা করেছেন তিনি। মূলত এখান থেকেই তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির অনেক সহায়তা তিনি এই সেন্টার থেকেই পেয়েছেন। রীতিমতো পরীক্ষা দিয়ে তিনি এই সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন। তারপর আর থেমে থাকেননি। রোজ নিজেকে তৈরি করেছেন। কঠিন পরিশ্রম। কীভাবে সব দিক থেকে নিজেকে কুশলী করে তুলতে হবে তার জন্য চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। অবশেষে এসেছে বিরাট সাফল্য। তিনি হতে চান আইএএস। আর মাস খানেকের মধ্য়েই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে।
ব্রততী হাবড়ার বানীপুরে নবোদয় বিদ্যালয়ে সাত বছর ধরে পড়াশোনা করেছেন। এরপর তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিবিদ্যায় স্নাতক। ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে এগ্রিকালচার অ্য়ান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি থেকে কৃষিবিদ্যা নিয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। তবে এতসব কিছুর পরেও তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল তিনি একেবারে সর্বভারতীয় স্তরে আমলা হবেন। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে তিনি কাজ করে যান। আর এতদিনে তাঁর সেই স্বপ্নের দোরগোড়ায় এসে গিয়েছেন তিনি। এবার একমাসের মধ্য়েই তাঁর ডিউটি নির্দিষ্ট করা হবে। এরপরই তিনি নির্দিষ্ট দায়িত্ব বুঝে নেবেন সরকারি স্তরে।
উত্তর ২৪ পরগনার ব্রততী দত্ত। আর শ্রীরামপুরের অনুষ্কা সরকার। ইউপিএসসিতে সর্বভারতীয় স্তরে অনুষ্কার স্থান ৪২৬। আর ব্রততীর স্থান ৩৪৬। এই দুই বাঙালি কন্যার সাফল্যে গর্বিত গোটা বাংলা। এখনও অনেকে যাঁরা স্বপ্ন দেখছেন ইউপিএসসিতে সফল হওয়ার তাঁদের কাছে বড় অনুপ্রেরণা।
(Feed Source: hindustantimes.com)