এপ্রিলে দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি কলকাতায়, শেষ পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে রেকর্ড

এপ্রিলে দীর্ঘস্থায়ী তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি কলকাতায়, শেষ পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে রেকর্ড

কলকাতা: বৈশাখের শুরুতেই গরমে পুড়ছে বাংলা। পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় চরম তাপপ্রবাহের (Heatwave) সতর্কতা জারি হয়েছে। গত ৫০ বছরে এপ্রিল মাসে কলকাতাতেও (Kolkata) এত দীর্ঘস্থায়ী গরম আবহাওয়া দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা।

গতকাল পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে তাপমাত্রা ছিল ৪৫.১, যা স্বাভাবিকের থেকে ৮ ডিগ্রি বেশি। বাঁকুড়ায় পারদ উঠেছিল ৪৪ ডিগ্রিতে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডায় তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৬। কলকাতাতেও পারদ ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। রাজ্যের ৬ জেলায় চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি।

১৯৮০ সালে একবার ৪১.৭ হয়েছিল। ২০১৩ একদিন ৪১ হয়েছিল ২০১৬-তেও ৪১-এর উপরে উঠেছিল পারদ। ২০২৩ এ অর্থাৎ গত বছর টানা পাঁচদিন ৪০ ডিগ্রি ছিল পারদ। এর মধ্যে ১৪ এপ্রিল তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি হয়েছিল। আগামী সপ্তাহ জুড়েও এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে, এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গড়ে ৫ ডিগ্রি বেশি থাকবে পারদ। আজ থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি কমলেও অস্বস্তি একই থাকবে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহবিদ সৌরীশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগামী দু’দিনের মধ্যেই স্পষ্ট হতে চলেছে কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গে কতদিন আরও থাকবে এই তাপপ্রবাহ।’

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে  তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই আগামী কয়েকদিনে। আগামী এক সপ্তাহ প্রায় একই থাকবে পরিস্থিতি। ২১ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত আংশিক মেঘলা আকাশ থাকার সম্ভাবনা থাকায় তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তবে অস্বস্তি কার্যত একই থাকবে।

যদিও ওড়িশা সীমান্ত সংলগ্ন জেলা গুলিতে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে আগামী দু’দিনে। তবে পরিস্থিতির সেভাবে উন্নতি হবে না। ২৪ এবং ২৫ তারিখ থেকে আবার তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের উপরের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও মালদা সহ দুই দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সর্তকতা রয়েছে।

আববিদদের কথায়, ‘গত বছরের তুলনায় এবছর এপ্রিলে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। অনেক বছরেই এপ্রিলে হয়তো তিন দিন এমন তাপপ্রবাহ থাকত, ৪০ ছুঁত তাপমাত্রা। কিন্তু টানা এমন তাপমাত্রা থাকা এবং তাপপ্রবাহ চলা শেষ কয়েক বছরে দেখা যায়নি।’

(Feed Source: abplive.com)