কেউ খেলতে পারেনি- তবে ISL-এর সেমির দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়ানোর আশ্বাস হাবাসের

কেউ খেলতে পারেনি- তবে ISL-এর সেমির দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়ানোর আশ্বাস হাবাসের

আইএসএলে প্রথম বার ওড়িশা এফসি-র কাছে হার। তাও কিনা সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। সেমির প্রথম লেগের ম্যাচে হেরে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা খেয়েছে মোহনবাগান। তাও ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে গিয়েও ১-২ হারতে হয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে। আর ম্যাচ হারের পর বিরক্ত বাগানের স্প্য়ানিশ কোচ আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দল মোটেও ভালো খেলেনি।

সেমির প্রথম লেগে হেরে বসে থাকায়, দ্বিতীয় লেগে মোহনবাগানের সমীকরণটা বেশ কঠিনই হয়ে গিয়েছে। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ শুধু জিতলেই হবে না, দু’গোলের ব্যবধানে জিততেই হবে। অর্থাৎ ওড়িশাকে তাদের ২-০ বা ৩-১ বা ৪-২- এ রকম ব্যবধানে জিততে হবে। তবেই ফাইনালে ওঠার ছাড়পত্র পাবে মোহনবাগান। আর এক গোলের ব্যবধানে জিতলে টাইব্রেকারে খেলার নিষ্পত্তি হবে। তবে ম্যাচ ড্র হলে বা ওড়িশা ফের জিতলে তারাই ফাইনালে উঠবে।

ওড়িশার কাছে এ দিন ম্যাচে হারের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে হাবাস অবশ্য দাবি করেছেন, সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মোহনবাগানকে অন্য রূপে পাওয়া যাবে। বাগান কোচ বলেন, ‘আমরা ভালো খেলিনি। অনেক ভুল করেছে দলের ছেলেরা। এত ভুল করলে দল হিসেবে ভাল খেলা কঠিন হয়ে পড়ে। লিগশিল্ড জয়ের পর সম্ভবত আমাদের একটু গা ছাড়া ভাব এসে গিয়েছিল। এটা স্বাভাবিক। সেমিফাইনালে জিততে গেল একশো শতাংশ দিতেই হবে। তবে আমার মনে হয়, কলকাতায় এই ফল বদলানোর ক্ষমতা আমাদের আছে।’

মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে লিগের শেষ ম্যাচে যে রকম অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছিল সবুজ-মেরুন বাহিনী, এ দিন তার ধারেকাছেও ছিল তাদের পারফরম্যান্স। দলের নির্ভরযোগ্য সদস্যরাও এ দিন ছন্দে ছিলেন না। সে কথা স্বীকার করে হাবাস বলেন, ‘দলের কোনও ফুটবলারই সে সাদিকু বলুন, কাউকো বলুন, আমাদের কোনও খেলোয়াড়ই আজ সেরাটা দিতে পারেনি। যার জেরে এই ফল হয়েছে। পরের ম্যাচে সম্পূর্ণ অন্য মোহনবাগানকে দেখা যাবে। এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমি।’

রক্ষণের ব্যর্থতার কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন হাবাস। বলেন, ‘আমাদের রক্ষণে অনেক ভুল হয়েছে। বোঝাপড়া ছিল না। একেক জনের মধ্যে অতিরিক্ত দূরত্ব ছিল। দ্বিতীয় গোলটির ক্ষেত্রে সেই ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে। ওই সময়ে হেক্টরের একজন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারের সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ওর ২৫ মিটারের মধ্যে কোনও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার ছিল না। থাকলে হয়তো গোলটা হত না।’

এ দিন দ্বিতীয়ার্ধে দ্বিতীয় হলুদ তথা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় আলবানিয়ার ফরোয়ার্ড আর্মান্দো সাদিকুকে। এই প্রসঙ্গ উঠলে কোচ বলেন, ‘আমাদের দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের কঠিন সময়ে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে। কারণ, দলের জুনিয়ররা ওদের থেকেই শেখে। তবে খেলায় যদি বারবার বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা হলে মেজাজ ধরে রাখাটাও কঠিন হয়। তবে আমাদের এখন পরের ম্যাচে ফোকাস করতে হবে এবং ম্যাচটা জিততেই হবে।’

ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়, মোহনবাগানের প্রাক্তন তারকা রয় কৃষ্ণা কার্যত একাই এ দিন লন্ডভন্ড করে দেন প্রতিপক্ষের রক্ষণ। তাঁর সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সবুজ-মেরুন কোচ। শুধু বলেন, ‘রয় এখন আর মোহনবাগানের খেলোয়াড় নয়, ও এখন ওড়িশার খেলোয়াড়। তাই ওর সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। ও আজ ভালো খেলেছে, এটুকুই বলব শুধু।’

(Feed Source: hindustantimes.com)