‘আমি যা হয়েছি,যতটুকু হয়েছি সবটাই ভিসি স্যারের জন্য’, বললেন গুকেশ

‘আমি যা হয়েছি,যতটুকু হয়েছি সবটাই ভিসি স্যারের জন্য’, বললেন গুকেশ

শুভব্রত মুখার্জি:- ভারতীয় দাবা তো বটেই বিশ্ব দাবার ইতিহাসেও নিঃসন্দেহে কিংবদন্তি বিশ্বনাথান আনন্দ। দাবার জগতে ভারতকে একাধিক সাফল্য এনে দিয়েছেন তিনি।ভারতকে বিশ্ব সভায় বারবার সম্মানিত করেছেন তিনি।বর্তমানে তাঁর হাত ধরেই উঠে আসছেন একের পর এক নবীন তারকা দাবাড়ু। যারা বিশ্ব দাবার মঞ্চকে আলোকিত করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। যাদের মধ্যে অন্যতম ডি গুকেশ। বৃহস্পতিবার তিনিই গুরু ভিসি স্যারের (বিশ্বনাথান আনন্দ) ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তাঁর কেরিয়ারকে সঠিক দিশায় নিয়ে যাওয়ার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন বিশ্বনাথান আনন্দকে।

১৭ বছর বয়সী গুকেশ জানিয়েছেন ‘ আজকের দিনে আমি যা যা অর্জন করেছি আমি সেটা হতে পারতাম না যদি ভিসি স্যার আমাকে সাহায্য করতেন। উনি আমার পাশে না থাকলে এটা সম্ভব হত না।’

উল্লেখ্য সোমবার ইতিহাস গড়েছিলেন ডি গুকেশ। টরেন্টোতে অনুষ্ঠিত ক্যান্ডিডেটস দাবা টু্র্নামেন্ট জেতেন তিনি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী সবথেকে তরুন চ্যালেঞ্জার দাবাড়ু হিসেবে নজির গড়েন তিনি ।‌ভেঙে দেন কিংবদন্তি গ্যারি ক্যাসপারভের নজির। যে নজির ক্যাসপারভ গড়েছিলেন আজ থেকে চার দশক আগে। সেই নজির ভেঙে দেন গুকেশ। তাঁর এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের ফলে এই বছর শেষে দারুন একটা সুযোগ এসেছে ডি গুকেশের সামনে। চিনের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দাবাড়ু ডিঙ্গ লিরেনের মুখোমুখি হবেন তিনি।

এদিন শিরোপাজয়ী ডি গুকেশ চেন্নাইতে এসে পৌঁছান। তাঁকে বীরের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে এদিন। তাঁর সমর্থক এবং স্কুল সতীর্থরা তাঁকে জমকালো সম্বর্ধনা দেন।এরপর সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ডি গুকেশ‌ জানান ‘ ভিসি স্যার আমার কাছে সবথেকে বড় অনুপ্রেরণা। আমি ওনার অ্যাকাদেমি থেকে শিখে খুব উপকৃত হয়েছি। আমি ওনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আমি আজকে যা হয়েছি,যতটুকু যা অ্যাচিভ করেছি সবটাই হয়েছে ভিসি স্যারের জন্য। উনি না থাকলে এটা সম্ভব। ‘

উল্লেখ্য ২০২০ সালে বিশ্বনাথান আনন্দের ওয়েস্টব্রিজ আনন্দ দাবা অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন তিনি। প্রসঙ্গত গুকেশের আগে একমাত্র ভারতীয় হিসেবে ক্যান্ডিডেটস দাবা টুর্নামেন্ট জেতার নজির ছিল বিশ্বনাথান আনন্দের। তিনি ২০১৪ সালে এই টুর্নামেন্ট জিতেছিলেন।

(Feed Source: hindustantimes.com)