Bangladesh: ভয়ংকর এই দাহ থেকে মুক্তি দিতে কবে প্লাবনের মতো বৃষ্টি নামবে দেশ জুড়ে?

Bangladesh: ভয়ংকর এই দাহ থেকে মুক্তি দিতে কবে প্লাবনের মতো বৃষ্টি নামবে দেশ জুড়ে?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেশ জুড়ে বৃষ্টি কবে হতে পারে, তার সম্ভাব্য সময় জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আজ, মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বৃষ্টির এই পূর্বাভাস জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। তাঁরা বলছেন, আগামী ৪ থেকে ৫ মে দেশ জুড়ে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

তবে এই পূর্বাভাস পশ্চিমবঙ্গের নয়, বাংলাদেশের। আজ, মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতরের দেওয়া সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের যশোর, চুয়াডাঙা, রাজশাহি ও পাবনা জেলার উপর দিয়ে তীব্র অতি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা এবং রাজশাহি ও খুলনার বাকি এলাকাগুলি দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। আজও এমনটাই চলবে। তীব্র এই তাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ চট্টগ্রাম ও সিলেটের দু-এক জায়গায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি বা বজ্রপাত-সহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

তবে, এ ধরনের বৃষ্টি দেশ জুড়ে চলতে থাকা তাপপ্রবাহ কমাবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে আবহাওয়াবিদদের। তাপপ্রবাহ কমাতে দেশ জুড়ে চাই তুমুল বৃষ্টি। কবে আসবে সেটা? এই তাপপ্রবাহের মধ্যে বাংলাদেশের দু-এক জায়গায় মাত্র বৃষ্টি হচ্ছে, ব্যাপক আকারে বৃষ্টি না হলে আবহাওয়ার বড় পরিবর্তন ঘটবে না। তবে জানানো হয়েছে, ক্রমশ বৃষ্টির পরিধি বাড়বে।

আবহাওয়া অফিস আপাতত আগামী তিন দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আজ সিলেট ও চট্টগ্রামের দু-এক জায়গার কথা বলা হলেও আগামীকাল সিলেটে এবং চট্টগ্রামে বৃষ্টির বিস্তৃতি বাড়তে পারে। আগামী বৃহস্পতিবার এই দুই জায়গার সঙ্গে ঢাকা ও বরিশালেরও দু-এক জায়গায় বৃষ্টির কথা বলেছে আবহাওয়া অফিস। তবে আগামী ৪ থেকে ৫ মে দেশের বড় অংশে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আবহাওয়াবিদ।

বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত ও ঝড় হয় মে মাসে। এর পর জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিলে। কিন্তু এবার এই ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মাত্র একটি ঝড় বা কালবৈশাখী হয়েছে। তা-ও হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। সেটাও অস্বাভাবিক। পশ্চিমবঙ্গের মতোই অবস্থা পাশের দেশ বাংলাদেশে। সেখানে বিশেষত ঢাকা শহরে পরিস্থিতি খুবই সঙ্গিন। শহরের ৯০ শতাংশ এলাকা তীব্র দাবদাহের কবলে। ওপার বাংলার রাজধানীর শাহবাগ, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এলাকায় বসবাসকারীরা এই গ্রীষ্মে তুলনামূলক কম বিপদে আছেন। কারণ, ঢাকার মধ্যে এসব এলাকায় উষ্ণতার মাত্রা সবচেয়ে কম। রাজধানীর মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ এখন কামরাঙ্গিরচর ও আদাবর এলাকা। এ ছাড়া ধানমন্ডি এলাকাতেও উষ্ণতার মাত্রা তীব্র হয়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯০ শতাংশ এলাকাই তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে!

(Feed Source: zeenews.com)