International
oi-Ritesh Ghosh
লাদাখের সীমান্ত এলাকায় চিন তাদের ষড়যন্ত্রের সলতে পাকিয়ে চলেছে। জানা গিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় দুই ডজনের বেশি যুদ্ধবিমান এনে খাড়া করে রেখেছে চিন। লাদাখের পূর্ব সেক্টরে সীমান্তের ওপারে হোতান বায়ুসেনা ঘাঁটিতে চিন এই যুদ্ধবিমান মজুত রেখেছে। দিন কয়েক আগেই আমেরিকার এক সেনা অফিসার জানিয়েছিলেন, চিনের সেনা সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো তৈরি করছে। এবং এটিকে ভারতের জন্য অত্যন্ত চিন্তার বিষয় বলেও তিনি উল্লেখ করেছিলেন। সেই ঘটনার পরই চিনের এই যুদ্ধবিমান মজুত রাখার খবর সামনে এসেছে।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, হোতান বায়ুসেনা ঘাঁটিতে চিন যে ২৫ টি ফাইটার জেট এনে মজুত রেখেছে, তার মধ্যে রয়েছে জে-১১ এবং জে-২০ যুদ্ধবিমান। আগে চিন মিগ-২১ ফাইটার জেট ব্যবহার করছিল। তবে এখন তারা আরও আধুনিক যুদ্ধবিমান বেশি পরিমাণে ব্যবহার করছে।
জানা গিয়েছে, ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি চিনের বায়ুসেনা নতুন এয়ারফিল্ড তৈরি করছে। যেখান থেকে তারা খুব সহজে এবং দ্রুত বায়ু সেনাকে ব্যবহার করতে পারবে।
ভারতীয় এজেন্সি তরফে চিনের এই কার্যকলাপের ওপর চূড়ান্ত নজর রাখা হচ্ছে। চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে কী কী পদক্ষেপ করছে, সেই বিষয়ে ভারত কড়া নজর রাখছে। এই লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি লাদাখ থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচলপ্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত।
হোতানের পাশাপাশি গড় গুনসা, কাশঘর, হপিং, ডোনকা, জং, লিনঝি, পনগট বায়ুসেনা ঘাঁটিতেও ভারতের এজেন্সিগুলো কড়া নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের সীমান্ত এলাকার বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে চিন অনেক বেশি আধুনিক সরঞ্জাম এবং সমরাস্ত্র নিয়ে ঘাঁটিগুলিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চালিয়েছে এবং চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে সীমান্ত এলাকার ঘাঁটিগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নেও চিনের সরকার অনেক বিনিয়োগ করেছে। এই দেখাদেখি সীমান্তে ভারতের দিকে বেশকিছু নতুন ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ভারত যাতে যেকোনও ধরনের ষড়যন্ত্রের যোগ্য জবাব দিতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতের তরফেও সুখোই, মিগ এবং মিরাজ গোষ্ঠীর বেশকিছু বায়ুসেনা বিমানকে সেখানে এনে রাখা হয়েছে।
(Source: oneindia.com)