কসবায় এক মহিলাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মহিলার আইনজীবীকে এক পুলিশ আধিকারিক চাপ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কোন সিআইডি অফিসার এই ঘটনার তদন্ত করবেন তা সিআইডির ডিআইজিকে ঠিক করতে হবে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। একইসঙ্গে অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ওই মহিলা পাটুলির বাসিন্দা। তিনি কসবা থানায় দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। মহিলা এই অভিযোগ করার পরেই ওই দুই ব্যক্তি নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানায়। নিম্ন আদালত তাদের আগাম জামিন মঞ্জুর করে। অভিযোগ, আগাম জামিন পাওয়ার পর আবার তারা ওই মহিলাকে যৌন নিগ্রহ করে। এরপর পুলিশকে জানিয়ে কোনও কাজ না হওয়ায় তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন। একইসঙ্গে আনন্দপুর থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করেন ওই মহিলা। কলকাতা হাইকোর্টে অভিযুক্তদের জামিন খারিজের আবেদন জানান মহিলার আইনজীবী।
মামলা চলাকালীন মহিলার আইনজীবী বিচারপতির কাছে নালিশ করেন, তাকে বারাসাত পুলিশের একজন আধিকারিক মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। আদালতে তিনি জানান, জেলা পুলিশের পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়েও অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আইনজীবী বলেন, পুলিশ ঘটনার সঠিক তদন্ত করলে দ্বিতীয়বার অভিযুক্তরা মহিলার যৌন নির্যাতন করার সাহস পেত না। এই সমস্ত কিছু শোনার পর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশ তদন্তকারী অফিসারকে নিযুক্ত করবেন সিআইডির ডিআইজি। কসবা এবং আনন্দপুর থানার পুলিশকে মামলার কেস ডায়েরি সিআইডির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
(Source: hindustantimes.com)