এম.এ আজিজ রাসেল : বিশালাকৃতির ঝিনুক যেন ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। আর তার পাশে ছড়িয়ে পড়ছে স্বচ্ছ জলরাশি। এমন সুদৃশ্য আকৃতি নিয়ে কক্সবাজারে তৈরি হয়েছে দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশন। কক্সবাজারে ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে এই আইকনিক স্টেশনের তৈরি হচ্ছে। নির্মাণাধীন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ আইকনিক এই রেলস্টেশন।
এখানে থাকছে তারকামানের হোটেল, শপিং মল, রেস্তোরাঁ, শিশুযত্নকেন্দ্র। আর নিচ তুলায় হবে টিকেট কাউন্টার এবং তিন টি প্লাটফর্ম। থাকবে লকার বা লাগেজ রাখার স্থান। ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজারে নেমে পর্যটকেরা লাগেজ, মালামাল স্টেশনে রেখে সারা দিন সমুদ্রসৈকত বা দর্শনীয় স্থান ঘুরে রাতের ট্রেনে আবার ফিরতে পারবেন নিজ গন্তব্যে। এছাড়াও কক্সবাজারে ২৯ একর জমির ওপর গড়ে ওটা আইকনিক রেল স্টেশনটিতে মূল ভবন ছাড়া নির্মিত হচ্ছে ১৭ টি স্থাপনা।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আব্দুর জাব্বার মিলন বলেন, এই আইকনিক রেলস্টেশন তৈরিতে দিন-রাত কাজ করছেন ১৫০ জন প্রকৌশলীসহ প্রায় ২ হাজার শ্রমিক। চলতি মাসে শেষ হচ্ছে ছয়তলা আইকনিক স্টেশন ভবনের মূল কাঠামোর নির্মাণ কাজ।
ম্যাক্সের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফরহাদ হোসেন বলেন, দেশের প্রথম পর্যটন বিকাশের লক্ষ্যে এমন দৃষ্টিনন্দন রেল স্টেশন। সাথে ইতিমধ্যে কক্সবাজারের রামু, ঈদগাঁও, পেকুয়া ও চকরিয়া অংশে প্রায় ২৮ কিলোমিটার রেলট্রেক বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। কক্সবাজার রেল যোগাযোগ পর্যটন ও অর্থনীতির মধ্যে গতি আনবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
করোনার কারণে কাজ করতে সমস্যা এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বিদ্যুতের খুটি সরাতে না পারা, গাছ কাটার অনুমতি না পাওয়া, জমি পেতে সমস্যার কারণে কাজ বিলম্বিত হয়। আগামী বছর ২৩ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে জানান দোহাজারী—কক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্পের পরিচালক মোঃ মফিজুর রহমান।
কক্সবাজারে প্রকল্প পরিদর্শনে এসে রেলপথ মন্ত্রী বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের ৬ মাস আগে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। ২০২৩ সালের বিজয়ের মাসে বিজয় দিবসের দিন ধানমন্ত্রী গোটা দেশের সাথে কক্সবাজারের রেল সংযোগ স্থাপন করার কথা জানান মন্ত্রী।
প্রকল্পের কর্মরত প্রকৌশলী সাইদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সব গুলো রেলস্টেশন মধ্যে সুন্দরের তালিকায় এক নাম্বারে থাকবে কক্সবাজারে এই আইকনিক রেলস্টেশনটি।
(Source: sunnews24x7.com)