এভাবেই চলছিল গোটা বিষয়টি। কিন্তু একটা সময় বাদে আমাদের শারীরিক ঘনিষ্ঠতা (Intimacy) শুরু হয়ে যায়। তারপরই শুরু হয় নতুন খেলা। ঘনিষ্ঠ হয়ে যাওয়ার পর ও আমার থেকে দূরে থাকতে শুরু করে। আমার মনে সেই নিয়ে খটকা লাগে। আমি যখনই জিজ্ঞেস করি, কেন এমনটা করছ? তখন জানায়, খুব শীঘ্রই ও আমার সঙ্গে দেখা করবে। কিন্তু এরপর আর ওর সঙ্গে দেখা হয়নি। এর কিছুদিন পরেই আমার মনে হয় যে ও আমাকে ধোকা (Cheat) দেবে বলেই ফাঁদে পেতেছিল। (সব ছবি প্রতীকী)
সম্পর্কের ফাঁদ
এই বিষয়টা আমাকে প্রচণ্ড কষ্ট দেয়। আমি মন থেকে ভেঙে পরি। তবে ভাগ্যের কী পরিহাস, ঠিক দেড় বছর পর ওই মানুষটির লিংকড ইন প্রোফাইল আমি খুঁজে পাই। প্রোফাইল ঘেটে জানতে পারি, ৭ বছর বিয়ে (Marriage) হয়েছে ওর। এর থেকেই আমার বোধদয় হয়। আমি বুঝতে পারি, এই মানুষটি হল এক নম্বরের মিথ্যেবাদি। মেয়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলাই মানুষটির লক্ষ্য।
ওই মিথ্যেবাদি জীবন থেকে চলে যাওয়ার পরও আমি ভুলতে পারিনি যে ও আমার সঙ্গে ঠিক কী কাজটাই না করেছে। আমার এখন সবকিছুতেই ভয় হয়। মনে হয়, আর কোনও দিন কোনও মানুষের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কে আমি যেতে পারব না।
বিশেষজ্ঞের মতামত
মুম্বইয়ের রিলেশনশিপ কাউন্সেলর রচনা আভত্রামানি জানান, আমি বুঝতে পারছি আপনি কী সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে অন্যকে বিশ্বাস করা আপনার পক্ষে হয়ে যাচ্ছে কঠিন। এখন সবাইকেই আপনি সন্দেহের চোখে দেখেন। এমনকী বিশ্বাসও করতে পারছেন না নিশ্চয়ই। আর আপনার মনে এই ধারণা হওয়া কোনও ভুল নয়। বরং এটাই স্বাভাবিক।
ভালোই করছেন
ম্যাট্রিমনি সাইট থেকে একজনকে পছন্দ করলেন। এরপর সেই মানুষটি আপনাকে ধোকা দিয়ে দিল। এবার অন্য মানুষকে বিশ্বাস করা সত্যিই হয়ে যায় কঠিন। তবে আপনার মনের জোরের অবশ্যই প্রশংসা করতে হবে। কারণ আপনি এখনও নতুন মানুষের সঙ্গে মিশছেন। এটা অবশ্যই ভালো দিক। তাই নিজের এই ভালো দিকটাকে কখনও দমিয়ে রাখবেন না।
কী করতে পারেন?
আপনি বলেছেন যে মানুষকে বিশ্বাস করতে আপনার ভয় হচ্ছে। এটা হতেই পারে। তবে এই ঘটনা থেকে আপনি একটা বড় শিক্ষাও পেয়েছেন। এবার থেকে খুব কম জেনে কোনও মানুষের প্রেমে নিশ্চয়ই পড়বেন না। অপরদিকের মানুষটি সম্পর্কে সব জেনে নিয়েই এগিয়ে এগতে হবে সম্পর্কে। একবার সবটা জেনে ফেলতে পারলেই বুঝতে পারবেন মানুষটির মতিগতি। তাই আগামীদিনে আপনাকে ধোকা দেওয়াটা খুবই কঠিন এক কাজ।
পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান
এই আঘাত মনের উপর পড়েছে। এবার এর থেকে বেরতে একটু সময় তো লাগবেই। তবে একটু ধৈর্য ধরলেই পরিস্থিতি আগের মতোই হয়ে যাবে। তাই নিজেকে সময় দিতে হবে। এই সময়টায় নিজের পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে ফেলুন। এদের মধ্যে আপনি নিজেকে নিয়ে অনেকটাই শান্তিতে থাকতে পারবেন। আর মনে রাখবেন, জীবনের থেকে বড় কিছুই নেই। আপনি যত দ্রুত এই বিষয়টি বুঝে নিতে পারবেন, তত তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠবেন এসব জ্বালা যন্ত্রণা।
প্রতিবেদন সৌজন্যে: নবভারত টাইমস
मेरी कहानी: मैं एक शादीशुदा मर्द के चक्कर में पड़ गई, जिसने संबंध बनाने के बाद मुझे छोड़ दिया