Dyspnea: একটুতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন! রোগের কারণ জানলে আঁতকে উঠবেন…

Dyspnea: একটুতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন! রোগের কারণ জানলে আঁতকে উঠবেন…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আপনি কী অল্পেই হাঁপিয়ে উঠছেন? একটু হাঁটাহাঁটি বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে শ্বাস নিতে প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে? শরীর অত্যধিক ঘেমে যাচ্ছে? বা শ্বাস নেওয়ার সময় শোঁ-শোঁ আওয়াজ হচ্ছে? জানেন কী রোগ আপনার শরীরে বাসা বাঁধছে! ডাক্তারি পরিভাষায় এই রোগের নাম ডিসপেনিয়া (Dyspnea), চলতি ভাষায় একে শর্টনেস অফ ব্রিথ বলা হয়।  এই রোগের পিছনে রয়েছে নানান কারণ। দৈনিক জীবনের যাঁতাকলে পিষে গিয়ে শরীর-স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা এখন একপ্রকার চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কথায় আছে সুস্থ শরীর সুস্থ মন, সেই জন্য যাই হোক না কেন শরীর সুস্থ রাখতেই হবে…

ডিসপেনিয়া বা শর্টনেস অফ ব্রিথ-এর পিছনে তিনটি কারণ রয়েছে।

প্রথম,

লাঙ্গসের সমস্যা- এটি একটি বহু পুরনো অসুখ, ডিসপেনিয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।  সিওপিডি অর্থাৎ ক্রোনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিস, পালমোনারি ফাইব্রোসিস অর্থাৎ ফুসফুসের প্রসারণ ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং অ্যাজমায় যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন তাঁদের ডিসপেনিয়ার সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

দ্বিতীয়,

হার্টের সমস্যা-  এই সমস্যার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে কনজেস্টিভ হার্ট ফেলিওর। সহজ ভাবে এর অর্থ, শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে যখন হার্ট রক্ত ​​পাম্প করতে পারে না। দীর্ঘদিন এই সমস্যা ডিসপেনিয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে আবার রয়েছে অ্যারিথমিয়া।  অনিয়মিত হৃদস্পন্দনকে অ্যারিথমিয়া বলা হয়। ডিসপেনিয়ার সমস্যা তো বাড়ায়ই সেইসঙ্গে স্ট্রোক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে।

তৃতীয়,

অ্যানিমিয়া (রক্তাল্পতা) – ভারতীয়দের কাছে এই রোগ একেবারেই অপরিচিত নয়। ঘরে ঘরে ছেয়ে গেছে অ্যানিমিয়া। যাঁরা অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের নিশ্বাসের ডিসপেনিয়ার পাশাপাশি সারাক্ষণ ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথা যন্ত্রণা, ঝিমনি ভাব, কখনও কখনও গা গুলোনিভাবও হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।

ডিসপেনিয়ার অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে,

স্লিপ অ্যাপনিয়া। ঘুমের মধ্যে কিছু সময়ের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়াকে ডাক্তারি ভাষায় স্লিপ অ্যাপনিয়া বলা হয়। এটি একপ্রকার গুপ্ত ঘাতক রোগ। অন্যদিকে সারাক্ষণ বসে থাকা, এক্সারসাইজ না করা, ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাওয়ার অভ্যাস শরীরে মেদ বাড়ায়। এই মেদই বডি মাস ইনডেক্স-কে অতিরিক্ত বাড়িয়ে তোলে, এর ফলেই পরবর্তীতে ডিসপেনিয়া বা শর্টনেস অফ ব্রিথ-এর খপ্পরে পড়তে হয়।

(Feed Source: zeenews.com)