নদিয়া: অসুস্থ রোগী এবং শরীর সচেতন নাগরিকরা চায়ের বদলে নদিয়ার শান্তিপুর কলেজ পার্শ্বস্ত এই দোকানে, সকাল থেকে ভিড় জমানো ক্রেতারা চুমুক দেন বিভিন্ন ভেষজ জুসে। নদিয়ার শান্তিপুর শহরের শান্তিপুর কলেজের পাশেই একটি দোকানে কাগজের কাপ হাতে নিয়ে ভেষজ জুসে চুমুক দিয়ে চলে খোশ মেজাজে গল্প , তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ছয়টা থেকে দশটা পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে কেউ মর্নিং ওয়াক করতে এসে কেউ বা নানান ব্যস্ততার কাজের মধ্যে দিয়ে এই দোকানে একবার ঢুঁ দিয়ে যান কখনও নিজে খেয়ে পরিবারকেও সুস্থ রাখতে বোতলে করে নিয়ে যান এই ভেষজ জুস।
একদিকে যেমন ব্রাহ্মী শাক, কুলেখাড়া, থানকুনি সজনের মত বহু গুণের পাতা রয়েছে তেমনি অর্জুন, ছাতিম, দারচিনি, নানান ভেষজ ঔষধি গাছের ছালের রস, রয়েছে বিভিন্ন শিকড়েরও রস, আনারস থেকে তুলসী, কালমেঘ, অ্যালোভেরা, পুদিনা, কারিপাতার রস। রয়েছে কাঁচা হলুদ, বিট, গাজর, লাউ, শসা-সহ নানান উপাদানের রস। আর এই রস নিয়মিত পান করেই কোনওরকম ঔষধ ছাড়াই তাদের শরীর সুস্থ ও সতেজ রয়েছে বলেই দাবি করেন সেই দোকানে নিয়মিত আসা খরিদ্দারেরা। নিয়মিত খরিদ্দারের সংখ্যা এখন প্রায় ৪০ জন। তবে রস যাই হোক দাম ১২০ মিলির কাগজের গ্লাসে মাত্র ১০ টাকা। ক্রেতারা জানাচ্ছেন এই দামে পাতি লেবুর শরবত মেলে, সেখানে এত রকমের উপাদান যা অত্যন্ত উপকারী তা পেতেই তাদের নিয়মিত আসা।
কেউ জানাচ্ছেন সুগারের জন্য নিমপাতা কিংবা করলার রস করা বাড়িতে যথেষ্ট সমস্যা, হাই প্রেসার সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আসা ক্রেতারা জানাচ্ছেন থোড় কেটে তা রস করা অনেকটাই সময় সাপেক্ষ প্রথম প্রথম তা বাড়িতে হলেও গাফিলতির কারণে আর খাওয়া হতো না, ওই দোকান হওয়ার পর থেকে নিয়মিত খাওয়া শুরু হয়েছে আবার তার ফলে রোগ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
শুধু রোগের জন্যই নয় অনেকেই আসেন যারা শুধুমাত্র সকালবেলায় ভেষজ বিভিন্ন ধরনের এই পথ্য খেতে। তবে কখন কখনও আমলকি কিংবা অ্যালোভেরা কিংবা পুদিনা এ ধরনের উপাদান জোগাড় করতে একটু বেশি অর্থ লাগে তখন দাম বেড়ে বড় জোর ১৫ থেকে ২০ টাকা হয় তবে সব রকম মিক্সড জুস সারাবছর ১০ টাকা। আর এই দশ টাকার বিনিময়ে একদিকে যেমন বাঁচছে সময় তেমন ঝামেলা ঝঞ্ঝাট নিয়মিত ঔষধের মতন পথ্যও খাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
Mainak Debnath
(Feed Source: news18.com)