বিমার টাকা হাতাতে ২ বার নিজের মৃত্যুর খবর রটিয়ে দেন মহিলা, তারপর?

বিমার টাকা হাতাতে ২ বার নিজের মৃত্যুর খবর রটিয়ে দেন মহিলা, তারপর?

মুম্বই: বিমা সংস্থার সঙ্গে প্রতারণা! একটা, দুটো নয়, চার-চারটি বিমা কোম্পানিকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছেন মুম্বইয়ের মহিলা কাঞ্চন পাই। জানা গিয়েছে, চিকিৎসক আশুতোষ যাদবের সঙ্গে যোগসাজশে তিনি, তাঁর স্বামী রোহিত এবং ছেলে ধনরাজ চারটি বিমা কোম্পানির থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা হাতিয়েছেন।

পুলিশ এফআইআর অনুযায়ী, কাঞ্চন মুম্বইয়ের ভাইন্দরের বাসিন্দা। তিনি ভুয়ো প্যান ও আধার কার্ড দিয়ে কাঞ্চন এবং পবিত্রা অর্থাৎ দুটো ভিন্ন নামে চারটি কোম্পানির কাছ থেকে বিমা কিনেছিলেন। বিমার মোট পরিমাণ ছিল ১.১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন কাঞ্চন। কিন্তু অতি লোভে তাঁতি নষ্ট হয়, আরও ৪১ লাখ হাতাতে গিয়ে।

কী হয়েছিল? বিমার টাকা হাতাতে কাঞ্চনের স্বামী রোহিত রটিয়ে দেন যে স্ত্রী মারা গিয়েছেন। চিকিৎসকের সঙ্গে যোগসাজশে ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট বের করেন তাঁরা। এমনকী শেষকৃত্যের প্রমাণ হিসেবে শ্মশানের শংসাপত্রও যোগাড় করেন তাঁরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

জানা গিয়েছে, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ম্যাক্স লাইফ, ভারতি এএক্সএ, এইচডিএফসি এবং ফিউচার জেনারেল কোম্পানির কাছে মোট ১.১০ লাখ টাকার বিমা করান কাঞ্চন। এরপর বিমার টাকা পাওয়ার জন্য বার ‘মারা’ যান তিনি। ৭০ লাখ টাকা চারটি কোম্পানির কাছ থেকে হাতিয়ে নেন। বাকি ৪১ লাখ টাকা প্রক্রিয়াধীন ছিল।

এই সময় সন্দেহ হয় একটি বিমা কোম্পানির। তারা তদন্ত শুরু করে। আগের দাবি খতিয়ে দেখা হয়। তখনই ধরা পড়ে যান কাঞ্চন। জানা যায়, ইস্যু করা ডেথ সার্টিফিকেট দেখিয়ে দুটি বিমা কোম্পানির থেকে টাকা দাবি করেছে কাঞ্চনের পরিবার। আশ্চর্যের বিষয় হল, দুটি ডেথ সার্টিফিকেট একজন চিকিৎসকই লিখেছেন। কিন্তু একই মানুষের মৃত্যুর তারিখ ভিন্ন। এরপর আরও তদন্ত করে বিমা কোম্পানি। দেখা যায়, কাঞ্চনের দেওয়া অন্যান্য নথিও ভুয়ো।

এরপরই পুলিশে কাঞ্চন পাই, তাঁর পরিবার এবং ওই চিকিৎসকের নামে মুম্বই পুলিশে এফআইআর দায়ের করে বিমা সংস্থা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত চারজনই আপাতত পলাতক। মুম্বইয়ের ভাইন্দর পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

(Feed Source: news18.com)