মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তি পাদদেশে বিক্ষোভ অবস্থানে বসলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন এই গোটা ঘটনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে দুষলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘এসপি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছিলেন যে নির্দেশ দিলে আধ ঘণ্টার মধ্যে সব নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী সেই নির্দেশ দেননি। পরে সেই এসপিকে বলির পাঁঠা করা হয়।’
উল্লেখ্য, হাওড়ায় অশান্তির মধ্যে পুলিশের শীর্ষস্তরে রদবদল করে রাজ্য সরকার। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার পদে আইপিএস প্রবীণকুমার ত্রিপাঠীকে বসানো হয়। আইপিএস স্বাতী ভাঙ্গালিয়াকে হাওড়া গ্রামীণের সুপার পদে বসানো হয়েছে। যে পদে আগে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক লাভলি মৈত্রের স্বামী সৌম্য রায়।
এদিকে এদিন পুলিশকে তুলোধোনা করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এভাবে পুলিশকে মোতায়েন করে কী লাভ। তাদের হাতে সরঞ্জাম নেই। এই পুলিশরা নিজেরাই আক্রান্ত হবেন।’ থানায় হামলার প্রসঙ্গ তুলে সুকান্তবাবু দাবি করেন এমন পুলিশ মোতায়েন করা উচিত যাদের কাছে ‘উপযুক্ত সরঞ্জাম’ থাকবে।
এর আগে গতকাল রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারের পদ থেকে সি সুধাকরকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার করে পাঠানো হয়। হাওড়া কমিশনারটের কমিশনার পদে আইপিএস প্রবীণকুমার ত্রিপাঠীকে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। যিনি এতদিন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। একইভাবে হাওড়া গ্রামীণের সুপার পদ থেকে আইপিএস সৌম্য রায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে কলকাতা পুলিশের (দক্ষিণ-পশ্চিম) ডেপুটি পুলিশ কমিশনার করা হচ্ছে। এতদিন যে পদে ছিলেন স্বাতী ভাঙ্গালিয়া। আইপিএস স্বাতীকে হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার হিসেবে পাঠানো হয়েছে।