লোকসভা ভোটে ইউপিতে কেন ধাক্কা খেল বিজেপি? খোলাখুলি মনের কথা জানালেন যোগী

লোকসভা ভোটে ইউপিতে কেন ধাক্কা খেল বিজেপি? খোলাখুলি মনের কথা জানালেন যোগী

ওভার কনফিডেন্সের জেরেই ধাক্কা খেয়েছে দল। রবিবার জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

রবিবার তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে বিজেপি আগের বারের মতোই ভোট শতাংশ পেয়েছে। কিন্তু ভোট কিছুটা অন্যজায়গায় গিয়েছে। আর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের জেরে আমাদের প্রত্যাশা ধাক্কা খেয়েছে। আর বিরোধীরা যারা আগে ভেন্টিলেটরে ছিলেন তারা এখন অক্সিজেন পাচ্ছেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে।

তিনি বলেন, ফের আরও একবার আমাদের রাজ্য়ে বিজেপির পতাকাটা তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, আগে যখন বিরোধী ছিলেন তখন মানুষের ইস্যু নিয়ে লড়াই করতেন আর এখন সরকারে, এখন ইউপির নিরাপত্তার দিকটা দেখতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শুক্রবার আগ্রা বিভাগের মন্ত্রী এবং বিজেপি বিধায়কদের সাথে দেখা করেছিলেন, ২০২৭ সালের ইউপি বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কীভাবে প্রস্তুত হতে হবে সে সম্পর্কে তাদের একটি বা দুটি পাঠ দিয়েছেন।

যোগী জনপ্রতিনিধিদের দলিত ও দরিদ্র সহ জনগণের কাছে পৌঁছতে এবং দলের পারফরম্যান্স উন্নত করার জন্য সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।

বিরোধী দলগুলির মিথ্যাচারের মোকাবিলায় দলীয় বিধায়কদের সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকতে বলেছেন তিনি।

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের ৮০ টির মধ্যে ৩৩ টি আসন জিতে বিজেপির প্রবীণ নেতা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাথে তিনি যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে এই বৈঠকটি ছিল।

আগ্রা ডিভিশনে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মিশ্র ফলাফল ছিল। দলটি আগ্রা এবং মথুরা লোকসভা আসনে তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতলেও ফতেপুর সিক্রিতে স্ক্র্যাপ করেছে। দলটি ফিরোজাবাদ এবং মৈনপুরী লোকসভা আসন সমাজবাদী পার্টির কাছে হেরে যায়।

ফতেপুর সিক্রির জয়ের ব্যবধান কমে যাওয়ার জন্য অনেকেই দায়ী করেছেন বর্তমান বিজেপি বিধায়ক চৌধুরী বাবুলালের ছেলে বিদ্রোহী প্রার্থী রামেশ্বর চৌধুরীকে।

অপর এক বিধায়ক বলেন, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা ভোটে ভোটের ব্যবধানের কারণ সম্পর্কে বিধায়কদের বোঝাতে বলা হয়েছিল এবং কোন অংশ দল থেকে দূরে সরে গেছে তা প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল। বিধায়কদের দলের পারফরম্যান্স উন্নত করার জন্য পদক্ষেপের পরামর্শও দিতে বলা হয়েছিল।

ভারতের সংবিধান পরিবর্তনের জন্য বিজেপি ৪০০-র বেশি আসন চেয়েছিল বলে বিরোধীদের প্রচারের প্রভাব নিয়েও আলোচনা হয়েছিল। বিধায়কদের অনেকেই বলেছেন, দলের ভোট শতাংশ কমে যাওয়ার কারণ এই ইস্যুতে ‘মিথ্যা প্রচার’। অনুভূত হয়েছিল যে প্রচারটি প্রতিহত করা যাবে না।

মথুরার একজন জনপ্রতিনিধি বলেছিলেন যে সরকারী যন্ত্রপাতিগুলি কাজ করার প্রয়োজন ছিল। জনপ্রতিনিধি বলেন, রাজ্যের রাজধানী স্তরে সবকিছু তোলা সম্ভব না হওয়ায় স্থানীয় স্তরেই মানুষের সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।

ফতেপুর সিক্রির বর্তমান বিজেপি বিধায়ক চৌধুরী বাবুলাল এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর ছেলে রামেশ্বর চৌধুরী লোকসভা নির্বাচনে ফতেপুর সিক্রিতে দলের সরকারী প্রার্থী রাজ কুমার চাহারের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং দলের ভোট শতাংশে ফাটল ধরেছিলেন। ফলে ২০১৯ সালে বিজেপির ৪ লক্ষেরও বেশি ভোটের জয়ের ব্যবধান ২০২৪ সালে কয়েক হাজার ভোটে নেমে আসে।

উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মথুরার বিধায়ক শ্রীকান্ত শর্মা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী তথা মৈনপুরীর বিধায়ক জয়বীর সিং চিকিৎসার কারণে বাইরে ছিলেন।

(Feed Source: hindustantimes.com)