
কলকাতা: মার্কিন মুলুকে একের পর এক হামলার শিকার হতে হয়েছে প্রেসিডেন্ট থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে। আততায়ীদের টার্গেট হয়েছেন আব্রাহাম লিঙ্কন থেকে জন এফ কেনেডির মতো রাষ্ট্রপ্রধানরা। ওই তালিকায় নতুন সংযোজন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ভোটপ্রচারে শ্যুটআউট! লক্ষ্য ট্রাম্প:
ভোটপ্রচারে হামলা। কান ছুঁয়ে গুলি বেরিয়ে যাওয়ায়, বড়সড় কোনও অঘটন ঘটেনি। তবে রক্তাক্ত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)।
৫ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে, মার্কিন মুলুকে ভোটের হাওয়া যখন তুঙ্গে ঠিক সেই সময়ই ঘটে গেল বড়সড় হামলার ঘটনা। পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে নির্বাচনী সভায় ভাষণ দেওয়ার সময়, গুলিবিদ্ধ হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রশ্ন উঠছে, নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনি এড়িয়ে কীভাবে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পকে টার্গেট করল আততায়ী? ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, এর আগে একাধিকবার ভোটের প্রচার বা জনসংযোগের সময় ভয়ঙ্কর হামলা হয়েছে মার্কিন মুলুকে। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪ জন প্রেসিডেন্ট।
আব্রাহাম লিঙ্কন:
আততায়ীর গুলিতে নিহত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন (Abraham Lincoln)। ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল, ওয়াশিংটনে থিয়েটার দেখার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ক্ষমতায় আসার ছ’মাসের মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জেমস গারফিল্ড।
উইলিয়াম ম্যাককিনলে:
১৯০১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, নিউ ইয়র্কের বাফেলোতে একটি সভার পর লোকজনের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছিলেন আমেরিকার ২৫তম প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ম্যাককিনলে। তখনই তাঁর বুকে এসে লাগে দু’টি গুলি। ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর।
জন এফ কেনেডি:
আমেরিকা তো বটেই, বিশ্ব ইতিহাসে অন্যতম চর্চিত বিষয় কেনেডি হত্যা। ১৯৬৩ সালের নভেম্বরে আমেরিকার ডালাসে হুডখোলা লিমুজিনে চড়ে জনসংযোগ করছিলেন। ঠিক সেই সময়েই আততায়ীদের টার্গেট হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি (John F. Kennedy)। তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয় তাঁর।
বরাতজোরে রক্ষা:
আততায়ী টার্গেট করলেও, বরাতজোরে রক্ষা পান আরও কয়েকজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ১৯৫০ সালে হোয়াইট হাউসের কাছে ব্লেয়ার হাউসে ছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রম্যান। সেই বাড়িতে ঢুকে গুলি চালান দু’জন। আমেরিকার ৩৩তম প্রেসিডেন্ট প্রাণে বেঁচে গেলেও, হোয়াইট হাউসের এক রক্ষী নিহত হয়েছিলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড, রোনাল্ড রেগান, জর্জ ডব্লিউ বুশ, আততায়ীর হামলার মুখে পড়েও রক্ষা পান।
ট্রাম্পের মতো, এর আগে আমেরিকার একাধিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর উপর হয়েছে হামলা। ১৯১২ সালে মিলওয়াউকিতে প্রচারে গিয়েছিলেন থিওডোর রুজভেল্ট। সেখানে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল। জন কেনেডির ভাই রবার্ট এফ কেনেডি ছিলেন ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। ১৯৬৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়া প্রাইমারি ভোটে জেতার পর, লস এঞ্জেলেসের হোটেলে ফিরেছিলেন। সেখানে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। ১৯৩৩ সালে মায়ামিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট। হুডখোলা গাড়ির পিছনে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। তাঁকে লক্ষ্য করে ছুটে আসে গুলি। যদিও বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। ১৯৫০ সালে আমেরিকার ৩৩তম প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যানের ওপরেও হয় হামলা।
(Feed Source: abplive.com)
