ধুতি পরে মলে কেন? সিনেমার টিকিট থাকা সত্ত্বেও কিছুতেই ঢুকলে দিলেন না নিরাপত্তারক্ষী

ধুতি পরে মলে কেন? সিনেমার টিকিট থাকা সত্ত্বেও কিছুতেই ঢুকলে দিলেন না নিরাপত্তারক্ষী

শপিং মলে ফ্যাশন-দুরস্ত জামাকাপড় পরে যাওয়া, সময় কাটানো, নিজস্বী তোলা – এগুলো হাল আমলের পরিচিত ছবি। তাবলে শপিং মল ঠিক করে দেবে কে-কী পোশাকে আসতে পারবেন কেনাকাটি করতে ? কয়েকবছর আগে পোশাক নিয়ে আপত্তি তুলে এক ক্রেতাকে দরজা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছিল কলকাতার এক রেস্তরাঁ। তাই নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এবার একই ধরনের ঘটনা ঘটে গেল। ধুতি পরে আসায় এক ব্যক্তিকে ঢুকতেই দেওয়া হল না শপিং মলে।

একজন বয়স্ক ব্যক্তি ধুতি পরে এসেছিলেন। শপিং মলে প্রবেশ করতে যেতেই তাঁকে আটকানো হয় বলে অভিযোগ। ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাক ধুতি পরে ঢোকা যাবে না মলে, দাবি কর্তৃপক্ষের।  নিরাপত্তারক্ষীরাই ওই ব্যক্তিকে এন্ট্রি গেটে আটকে দেয় বলে অভিযোগ। তাঁদের কাছে কাকুতি – মিনতি করেও লাভ হয়নি। সঙ্গে ছিলেন ওই বয়স্ক ব্যক্তির ছেলে। তিনি পুরো ঘটনাটি ভিডিও করে নেটমাধ্যমে প্রকাশ করেন। মুহূর্তে ভাইরাল হয় সেই ভিডিও।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটে বেঙ্গালুরুতে।   সিনেমার টিকিট বুক করা সত্ত্বেও মলের প্রবেশদ্বারেই বাবা ও ছেলেকে আটকায় নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরা জানান, মলের নিয়ম, ধুতি পরে প্রবেশ করা যাবে না।  সেই নিয়ম মানতেই বাধ্য নিরাপত্তাকর্মীরা। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও লাভ হয়নি। তাঁদের জানানো হয় অনেকটা দূর থেকে আসছেন তাঁরা। তাই পোশাক পরিবর্তন করতে পারেননি। মল সুপারভাইজার তাঁদের অনুরোধেও কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ।  নিরাপত্তা কর্মীরা দাবি করেন, আগে ধুতির বদলে প্যান্টস পরে আসুন !

ভাইরাল ভিডিওটি দেখে ক্ষেপে লাল নেটিজেনরা।  সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অনেকেই অভাবে বৃদ্ধকে “অসম্মান” করার জন্য নিরাপত্তা এবং মল কর্তৃপক্ষের এমন নিয়মের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। একজন X-এর ইউজার,  ChekrishnaCk লিখেছেন, “মলের উচিত এই ভুল সংশোধন করা এবং ক্ষতিপূরণ হিসাবে বৃদ্ধকে এক বছরের বিনামূল্যের সিনেমা পাস দেওয়া। ” রেকজন লিখেছেন, “এই পোশাক আমাদের সংস্কৃতির অংশ। আমরা যদি তা তামিল/মালয়ালিদের মতো কঠোর হতাম, তাহলে এই এদের থামানোর সাহস হত না। ”

(Feed Source: abplive.com)