কলকাতা: অনেক অল্প বয়স থেকে অভিনয় করলেও বাড়িতে কড়া শাসন ছিল সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের (Sabitri Chatterjee)। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে শুরু হয়েছিল অভিনয়। নিয়ম ছিল ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে হবে আবার ফিরিয়ে দিয়ে যেতে হবে কিশোরী সাবিত্রীকে। তবে সেই একই নিয়মের ফাঁদে পড়েছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমারও (Uttam Kumar)। সাবিত্রীর বাবার ভয়ে, একবার আজব এক কাজ করেছিলেন উত্তমকুমার। সেলিব্রিটি টক শো ‘অপুর সংসার’-এ এসে সেই গল্পই শুনিয়েছিলেন খোদ সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের বাবার কড়া নিয়ম ছিল, রাত ১০টার পরে গেটে তালা দিয়ে দেওয়া হবে। তারমধ্যেই বাড়ি ঢুকতে হবে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে। আর সেটা না ঢুকলেই গেটে তালা। কিন্তু শ্যুটিংয়ের কাজে এই নিয়ম হামেশাই ভাঙত। সেই কারণেই নাকি মাসের মধ্যে ১৫দিন বাবা কথা বলতেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে, আর ১৫ দিন কথা বন্ধ থাকত। কিন্তু একবার এই নিয়মের ফাঁদে পড়েছিলেন উত্তমকুমারও!
একবার সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন উত্তমকুমার। কথায় কথায় খেয়াল নেই, কখন রাত ১০টা বেজে গিয়েছে। যখন খেয়াল হয়েছে, তখন গেটে তালা পড়ে গিয়েছে। সাবিত্রী খুঁজছেন উত্তমকে, হঠাৎ দেখেন, কে যেন তাঁর নাম ফিসফিস করে ডাকছেন। ‘সাবু… আমি এখানে’ সাবিত্রী দেখেন, তাঁর বাবার ভয়ে বাথরুমে গিয়ে লুকিয়েছেন উত্তমকুমার স্বয়ং। সাবিত্রীরও বাবাকে বলার সাহস নেই যে বাথরুমে লুকিয়ে রয়েছেন উত্তম কুমার।
আরও একটি ঘটনার কথা বলেন সাবিত্রী। যখন তাঁর বাড়িতে প্রথম অভিনয়ের অফার নিয়ে গিয়েছিলেন উত্তমকুমার, তখন কাজের জন্য অ্যাডভান্স টাকা চেয়েছিলেন বাবা। সেই ঘটনায় সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এতটাই রেগে যান যে ২ দিন বাবার সঙ্গে কথা বলেননি। তাঁর বাবা অবশ্য বলেছিলেন, সাবিত্রী কাজ করবেন, সেই বিনিময়েই টাকা চেয়েছিলেন সাবিত্রীর বাবা। তবে সেই সময়ে সাবিত্রীর কাছে উত্তমকুমারের সঙ্গে অভিনয় করার বিষয়টিই ছিল একমাত্র আকর্ষণ। টাকার কথা সেই সময়ে ভাবতেন না সাবিত্রী। অথচ, সাবিত্রী নিয়ে বলেছিলেন জীবনের একটা সময়ে তাঁর কেটেছে অত্যন্ত অভাবের মধ্যে।
(Feed Source: abplive.com)