শক্তিগড়ের ল্যাংচার গুণগত মান নিয়ে উঠল প্রশ্ন, ল্যাংচায় ছত্রাকের অভিযোগ অস্বীকার ব্যবসায়ীদের

শক্তিগড়ের ল্যাংচার গুণগত মান নিয়ে উঠল প্রশ্ন, ল্যাংচায় ছত্রাকের অভিযোগ অস্বীকার ব্যবসায়ীদের

কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: শক্তিগড় ল্যাংচাকাণ্ডে এবার থানায় FIR দায়ের ফুড সেফটি অফিসারের। মূলত ২০ জুলাই শক্তিগড়ে অভিযান চালানো হয়। এবং কুইণ্টাল কুইণ্টাল ছত্রাক পড়ে যাওয়া ল্যাংচা উদ্ধার করা হয়। যদিও এদিন ল্যাংচায় ছত্রাক থাকার কথা অস্বীকার করল ব্যবসায়ীদের একাংশ।

‘আপনার ঘরের ছেলে যদি কোনও সমস্যায় পড়ে, আপনি কী করবেন ? সংবাদে লিখে শক্তিগড়ের বদনাম করে দেবেন !’

এদিন স্থানীয় এক ল্যাংচা ব্যবসায়ী ক্ষোভ উগরে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ‘ল্যাংচা হাফ ফ্রাই করে রাখা যেতে পারে ১০ থেকে ১৫ দিন।  তার মধ্যে কোনও প্রিজারভেটিভ লাগে না। তারপরে যখন ল্যাংচা রসে ডোবানো হয়, তখন তার আগে, ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে, ল্যাংচাকে ১২০ থেকে ১৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভাজা হয়।  তারপরে সেটা রসে ফেলা হয়। সুতরাং সেখানে কোনও ফাংগাসের কোনও গল্প থাকতেই পারে না।  অভিযান চালিয়েছেন ফুড ইন্সপেকটর, তার সঙ্গে প্রশাসনকে আসতেই হয়েছে। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, আপনার ঘরের ছেলে যদি কোনও সমস্যায় পড়ে, আপনি কী করবেন ? আপনি প্রথমে দুবার-চারবার শাসন করবেন।  শাসনের পরে আপনি সংবাদ মাধ্যমে সরাসরি নিয়ে চলে যাবেন ? সংবাদে লিখে শক্তিগড়র বদনাম করে দেবেন ! ‘

একুশের আগেই অভিযান

২১ জুলাইয়ের আগে বৃহস্পতিবারের পর ফের শনিবার বর্ধমানের বিখ্যাত শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানগুলিতে হানা দেয় স্বাস্থ্য দফতর। জেলা পুলিশ, ক্রেতা সুরক্ষা দফতর ও লিগ্যাল মেট্রোলজি দফতর। মূলত যেদিন অভিযান চালানো হয়, তার পরদিনই ছিল ২১ জুলাই, তৃণমূলের শহিদ সমাবেগ। টিমের প্রাথমিক অনুমান, এই সমস্ত বাসি মিষ্টি যা ২১-শে জুলাই পুনরায় ভেজে, রসে ডুবিয়ে বিক্রি করবার পরিকল্পনা ছিল।কারণ ২১ শে জুলাই বিভিন্ন জেলা থেকে গাড়িতে করে জাতীয় সড়ক ধরে বহু তৃণমূলকর্মী আসা-যাওয়া করেন এবং এর জন্য শক্তিগড়ে ল্যাংচার চাহিদা থাকে তুঙ্গে। পরীক্ষার জন্য কয়েকটি নমুনা রেখে বাকি প্রায় তিন কুইন্ট্যাল এই ধরণের ভাজা ল্যাংচা আজ বাজেয়াপ্ত করে, তা পরিবেশ-বান্ধব উপায়ে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে দেওয়া হয়।

(Feed Source: abplive.com)