বছর-বছর বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিল, এবারও পাইলট ছাড়া সবার মৃত্যু নেপালে

বছর-বছর বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিল, এবারও পাইলট ছাড়া সবার মৃত্যু নেপালে

কাঠমান্ডু:  বারবার এই দেশে একাধিক প্রাণ কেড়েছে বিমান দুর্ঘটনা।  আবার সেই নেপাল। আবারও বিমান দুর্ঘটনা। আবারও মৃত্যু মিছিল।  সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, বিমানে ক্রু ও যাত্রী নিয়ে ১৯ জন ছিলেন। তাঁর মধ্যে ১৮ জনই আর জীবিত নেই। বেঁচে শুধু বিমানচালক। ৩৭ বছরের মণীশ শাক্যকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিনামঙ্গলের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনিও গুরুতর জখমই হয়েছেন।

সকালে কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টেকঅফের সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সকাল থেকেই আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে রানওয়েতেই চাকা স্কিড করে যায়। তখনই মুখ থুবড়ে পড়ে বিমানটি। ভেঙে পড়ার পর আগুন ধরে যায় সূর্য এয়ারলাইন্সের বিমানটিতে। ১৯ জন যাত্রী নিয়ে পোখরা যাচ্ছিল বিমানটি।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে ক্রু এবং যাত্রী-সহ মোট ১৯ জন ছিলেন। তার মধ্যে ১৮ জনেরই মৃত্যুর খবর মিলেছে। পাইলটকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  খারাপ আবহাওয়ায় টেকঅফের সময় চাকা স্কিড করে দুর্ঘটনা বলে আপাতত অনুমান। কিন্তু আর কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি আছে কি না খতিয়ে দেখা হবে।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নেপালের  মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ক্ষত এখনও দগদগে। সেবার ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি বিমান পোখারার কাছেই ধসে পড়ে। এ ঘটনায় যাত্রী ও ক্রু সদস্যসহ বিমানের ৭২ জনের সবাই প্রাণ হারান। গভীর খাদে খাদে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায় বিমানটি। সঙ্গে সঙ্গে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। তার আগে ২০২২ সালে ২৯ মে বিমানসংস্থা তারা এয়ারের একটি বিমান মুস্তাং জেলায় ভেঙে পড়ে। সেবার মৃত্যু হয় ২২ জনের। ২০২৮  সালে, কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের সঙ্গে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।  সেবার ৫১ জনের মৃত্যু হয় এবং ২০ জন গুরুতর জখম হন।

(Feed Source: abplive.com)