পয়গন্বর বিতর্কে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে রাজ্যের একাধিক জেলা। দেশের অন্যান্য রাজ্যেও তার প্রভাব পড়েছে। এই হিংসার ঘটনায় হাওড়ায় ৭০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবারই বদল করা হয় হাওড়া শহর ও হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার। আমতা, ডোমজুড়, জগাছার মতো এলাকায় হানা দিয়ে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিল কলকাতা পুলিশ। অভিযোগ, এই পোস্টের পরই বহু মানুষ গালিগালাজ করেন।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে গোটা রাজ্যজুড়ে হিংসা দেখা দিয়েছে। তার জেরে মানুষকে সতর্ক করতে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিল কলকাতা পুলিশ। এই পোস্টের পরই বহু মানুষ গালিগালাজ করেন ওখানের কমেন্ট বক্সে। পরিস্থিতি দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় পুলিশকর্তাদের। তখন বাধ্য হয়ে পোস্টে কমেন্ট করার অপশনই বন্ধ করে দেয় কলকাতা পুলিশ। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, পাঁচলা থেকে ২২ জন, সাঁকরাইল থেকে ১৮ জন, ডোমজুড় থেকে ৫ জন, উলুবেড়িয়া থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পর রবিবারও থমথমে ছিল গোটা এলাকা। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট। জাতীয় সড়ক, এমনকী ছোট রাস্তাগুলিতেও টহল দিচ্ছে পুলিশ।
ঠিক কী পোস্ট করেছিল কলকাতা পুলিশ? ফেসবুকে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে পোস্ট করা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে গুজব। অনুরোধ করা হচ্ছে, যাচাই না করে কোনওরকম ভুল তথ্য, কমেন্ট পোস্ট করবেন না। এতে সামাজিক সংহতি বিঘ্নিত হয়। আর এটা ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী অপরাধের মধ্যে পড়ে। এই পোস্টের পরই কমেন্ট বক্সে গালিগালাজ করতে শুরু করেন মানুষজন।
(Source: hindustantimes.com)