বিশ্ব ভারতীর কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া, সার্ন প্রকল্পে যুক্ত হতে না দেওয়া, সাসপেনশন, বরাদ্দ অর্থ দেওয়া বন্ধ করা, একাধিক অভিযোগ, হাইকোর্টে মামলা, সব মিলিয়ে গত দুই বছর ধরে প্রবল চাপের মধ্যে ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মানস মাইতি। এতদিন পর একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন, কলকাতা হাইকোর্টের সৌজন্যেই।
আসল জটিলতার সূত্রপাত কোথায়
আদালত প্রথম থেকেই এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ নাকচ করেই আসছে। ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারির পর থেকে বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, অধ্যাপক মানস মাইতিকে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সাসপেন্ড পর্যন্ত করে দিয়েছিলেন। হাইকোর্ট পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় পদক্ষেপ বাতিল করে দিয়েছিল। মাইতিকে প্রেস্টিজিয়াস সার্ন প্রজেক্টের গবেষণা থেকে বাদ দেওয়ার বিরুদ্ধেও কথা বলেছিল হাইকোর্ট। তিনি যাতে সার্নের প্রকল্পে কাজ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছিল।
নতুন করে কী নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি
যদিও, তাতেও সেভাবে কোনও লাভ হয়নি। উপাচার্যের জটিলতার জালে ক্রমশ জড়িয়ে পড়ছিলেন। এমনকি সার্নের প্রকল্পে কাজের ডাক আসা সত্ত্বেও সেই কাজে তাঁকে যুক্ত হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। আদালত সাসপেনশন প্রত্যাহার করলেও তাঁর গবেষণার টাকা আসা বন্ধ করা হয়েছিল। এবার সেই বরাদ্দ টাকাই কেন্দ্রকে ফেরাতে বলেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
তাঁর নির্দেশ, সার্ন প্রজেক্টে কাজের জন্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রককে, মানস মাইতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৯ অগস্টের মধ্যে টাকা পৌঁছে দিতে হবে। নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে টাকা যাতে ওই অধ্যাপকের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়, কেন্দ্রের পাশাপাশি তা নিশ্চিত করতে হবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকেও। আর তা যদি না হয়, তাহলেই আদালত ডেকে পাঠাবে কর্মকর্তাদের। পরবর্তী শুনানিতে ভার্চুয়ালি এজলাসে হাজির থাকতে হবে বিভাগীয় সংশ্লিষ্ট অফিসারদের।
(Feed Source: hindustantimes.com)