জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল: নয়া এক মারণ ভাইরাসের ব্যাপক প্রকোপে কপালে চন্তার ভাঁজ পড়ল স্বাস্থ্য কর্তাদের। আতঙ্কের নাম চাঁদিপুর ভাইরাস। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা মঙ্গলবার রাজ্যসভায় জানান, চাঁদিপুর ভাইরাসের ৫৩ নিশ্চিত কেসের মধ্যে ৫১ কেস গুজরাটের এবং দুটি রাজস্থানে শনাক্ত করা হয়। নাড্ডা বলেন, চন্ডিপুর ভাইরাসের এই ৫৩ মামলার মধ্যে ১৯ জন মারা গিয়েছে এবং সমস্ত মৃত্যু গুজরাট থেকেই রিপোর্ট করা হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার প্রকাশিত গুজরাট সরকারের সর্বশেষ বুলেটিনে চাঁদিপুর ভাইরাসের পজিটিভ কেসের সংখ্যা ৫৯-এ পৌঁছেছে। ভাইরাল এনসেফালাইটিস কেসে মোট ১৫৯ জনে ৭১ জন মারা গিয়েছে। গুজরাট সরকারকে জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং প্রাদুর্ভাবের বিস্তারিত মহামারী সংক্রান্ত তদন্তের জন্য সহায়তা করার জন্য জাতীয় যৌথ আউটব্রেক রেসপন্স টিম (NJORT) মোতায়েন করা হয়েছে।
নাড্ডা জানান, ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিলেন্স প্রোগ্রাম, ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি পুনের বিশেষজ্ঞরা NJORT-এর অংশ। NCDC, দিল্লি, এবং ICMR NIV পুনের একটি দল এনসেফালাইটিস কেস এবং মৃত্যুর একটি মহামারী সংক্রান্ত তদন্ত করছে।
ভাইরাসটির আসল নাম, চাঁদিপুর ভেসিকুলোভাইরাস (CHPV)। ১৯৬৫ সালে, মহারাষ্ট্রর চাঁদিপুর গ্রামে এই ভাইরাস প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল। সেই থেকেই এই নামকরণ। এটি একটি আরএনএ ভাইরাস। এটি প্যাথোজেনটি ব়্যাবডোভিরিডা ভাইরাল পরিবারের ভেসিকুলোভাইরাস গণের সদস্য। চলতি মাসে প্রথম চাঁদিপুরা ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায় গুজরাটে। হিম্মত নগরে এক সরকারি হাসপাতালে গত ১০ জুলাই ৪ শিশুর মৃত্যু ঘটে। চিকিৎসকদের তরফে দাবি করা হয় চাঁদিপুরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই এই ঘটনায়। যদিও নিশ্চিত হওয়ার জন্য মৃতদেহের রক্তের নমুনা পাঠানো হয় এনআইবি-তে।
(Feed Source: zeenews.com)