লখনউ: এক তরুণীর দুই সন্তান-সহ নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে। ওই মহিলা নিখোঁজ হওয়ার কিছু পরেই মুক্তিপণ চাওয়া হয় তাঁর স্বামীর কাছে। তাঁর স্বামীর কাছ থেকে মুক্তিপণ চাওয়ার কায়দাটিও অভিনব। একটি অজ্ঞাতপরিচয় নম্বর থেকে কিউ আর কোড পাঠানো হয়। সেই কোডেই চাওয়া হয় মুক্তিপণ।
আর পাঁচটা দিনের মতই দুই সন্তানকে নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন ওই তরুণী। এরপরেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর স্বামী খোঁজ শুরু করার পরেই তাঁর ফোনে হোয়াটসঅ্যাপে একটি অজ্ঞাতপরিচয় নম্বরে কিউআর কোড পাঠানো হয়। সেই কিউআর কোডে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মূল ঘটনা গত পয়লা অগাস্টের, কুশিনগরের ফজিলনগর পঞ্চায়েতের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ২৯ বছরের তরুণী, প্রীতি হাঁটতে বেরোন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ১০ বছরের মেয়ে দীপশিখা এবং ৯ বছরের ছেলে দিব্যাংশু।
সামনে একটি নালার সামনে থেকেই তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান। তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর প্রীতির স্বামী স্বতন্ত্র সিং হোয়াটসঅ্যাপে মুক্তিপনের ফোন পান। সঙ্গে কিউআর কোডের মেসেজ আসে। এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।
স্বতন্ত্র সিং জানিয়েছেন তাঁকে অপহরণকারীরা তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলিয়েছে। অপহরণকারীরা তাঁকে ইতিমধ্যে তাঁকে মেসেজও করেছে “তোমার মেয়ে শেষ” এই কথাও জানান তিনি।
৪ঠা অগাস্ট পুলিশে অভিযোগ জানান স্বতন্ত্র। কিন্তু পুলিশ শুধু তাঁর স্ত্রীর নামে নিখোঁজ -এর একটি রিপোর্ট লিখেই দায় সেরেছে বলে অভিযোগ। পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়দের মনে।
(Feed Source: news18.com)