জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছিলেন না দেশে। ফিরলেন। তবে তার আগেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি সর্বসম্মতিক্রমে। তিনি শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ, বৃহস্পতিবার ৮ অগস্ট দুপুরে ফ্রান্স থেকে বাংলাদেশ ফেরেন তিনি।
ফিরেই তিনি স্বদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য় করেন। বাংলাদেশ থেকে হাসিনা-উৎখাতের পর্বে ইউনূসের কোনও কথা সেভাবে শোনা যায়নি। তবে আজ তিনি বলেছেন, নতুন যে-বাংলাদেশ পেলাম, সে-বাংলাদেশ যেন পূর্ণতা পায়। যে-বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন করে বিজয় পেল, তা যেন পূর্ণতা পায়। এ প্রসঙ্গে তিনি দেশের তরুণ সমাজকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তরুণ সমাজ যেন নিজেদের মতো করে দেশটা সাজাতে পারে। এ সময়ে তিনি রংপুরের আবু সাঈদকে স্মরণ করে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে ফ্রান্স থেকে ফেরেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সব কথা বলেন অধ্যাপক।
বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং তিন বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। আজ রাত সাড়ে ৮টায় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেবে।
কিন্তু এই প্রেক্ষিতেই ইউনূস ভারত নিয়ে যেন একটু ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে সেটা কিছুদিন আগে। দিনতিনেক আগে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তিনি ভারতের সাম্প্রতিক অবস্থান নিয়ে খুবই মর্মাহত। ভারত বিষয়টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে নীরব থেকেছে। তবে, এই প্রসঙ্গ তুলেই ইউনূস বলেন, আমার পড়শির ঘরে আগুন লাগলে কীভাবে আমি সেটা তাদের নিজেদের ব্যাপার বলে চুপ করে থাকতে পারি? স্পষ্টতই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ তিনি।
ওই সাক্ষাৎকারেই ইউনূস বলেন, যদি বাংলাদেশ ভালো না থাকে, যদি তার ভিতরে অশান্তি উপচে পড়ে, তবে সেই অশান্তির আঁচ তার প্রতিবেশীদেরও স্পর্শ করবে। বাংলাদেশ সমস্ত প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। সকলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে চলতে চায়। ভারতও সেই তালিকায় রয়েছে।
(Feed Source: zeenews.com)