কোন জায়গায় থেমেছে ভারতীয় রুপি?
ফেডারেল রিজার্ভের প্রত্যাশা রুপির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে, যা মার্চের পর থেকে পরপর নতুন সর্বনিম্ন স্তর স্পর্শ করেছে৷ গত মাসেই এটি প্রথমবারের জন্য ডলার প্রতি নেমে ৭৭ স্পর্শ করেছিল। সোমবার শুরুতেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে রেকর্ড ৭৮.২৯-এ নেমে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে, আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রায়, রুপি আমেরিকান ডলারের বিপরীতে ৭৮.২০-এ শুরু করে তারপর ৭৮.২৯ এ উদ্ধৃতির গিয়ে থেমেছে৷ স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় মুদ্রা ব্যবস্থার ইতিহাসে রুপির পতনের এটিই সর্বনিম্নস্তর। শেষ বন্ধ থেকে ৩৬ পয়সা পতন নিবন্ধন করেছে।
কিন্তু কেন এই পতন রুপির?
ফরেক্স ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দুর্বল এশিয়ান মুদ্রা, অভ্যন্তরীণ ইক্যুইটিতে দুর্বলতার প্রবণতা এবং ক্রমাগত বিদেশী পুঁজির বহিঃপ্রবাহ বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে প্রভাবিত করেছে, যার কারণেই আরও পড়েছে রুপি। সোমবার ডলার ০.৪ শতাংশের উপরে উঠেছিল এবং ১৩৫ ইয়েনের ২০ বছরের সর্বোচ্চ শিখরে স্পর্শ করেছিল৷ প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের সর্বোচ্চ ১৩৫.২০ ইয়েনের কাছাকাছি পৌঁছেছিল ডলার৷ অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেডের আরও বেশি প্রত্যাশার কারণেই ইয়েনের তুলনায় ডলারের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।
মুদ্রাষ্ফীতি মোকাবিলায় আরো জোরদার’ আর্থিক কঠোরতার ভাবনা আমেরিকায়!
ডলার সূচক, যা সিক্স-পিয়ারের বিপরীতে গ্রিনব্যাকের পারফরম্যান্স ট্র্যাক করে সেটি ০.৩ শতাংশ বেশি ১০৪.৫৩ ছিল, যা শেষ চার সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি চার দশকেরও বেশি উচ্চতায় লাফ দেওয়া এবং তার পাল্টা আক্রমনাত্মক ফেডের কঠোর প্রত্যাশার কারণে ডলারের বিপরীতে রুপি তার আগের সর্বকালের সর্বনিম্ন ৭৭.৯৩এ নেমে গিয়েছিল। আইএজি-এর গ্লোবাল হেড অফ মার্কেটস ক্রিস টার্নার বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে আরও বিস্তৃতভাবে লেনদেন শুরু হওয়া এবং মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলায় ‘আরো জোরদার’ আর্থিক কঠোরতার প্রয়োজন।
কেন উর্ধ্বমুখী ডলার?
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কাররা প্রকৃত সুদের হার উপরের দিকে রাখছেন, এটি একটি ডলারের ইতিবাচক পরিবেশ, যা ডলারের মূল্যকে উপরের দিকে ধাক্কা দিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, মে মাসে ইউএস ক্রেতারা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস বেশি দামে কিনেছেন, এর একটি কারণ পেট্রলের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়াও। আমেরিকায় খাবারের দামও বেড়ে গিয়েছিল, যা প্রায় ৪০ বছরে আমেরিকাকে সবচেয়ে বড় বার্ষিক বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে৷ এর ফলেই মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ফেড তার ৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার চালিয়ে যেতে পেরেছে। যার ফলস্বরূপ শেষ চার সপ্তাহ ধরে উচ্চতা স্পর্শ করেছে ডলার!