আমন শেরাওয়াত শুক্রবার ৫৭ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতে নজির গড়েছেন। ভারতের সর্বকনিষ্ঠ অলিম্পিক্স পদক জয়ী কুস্তিগীর হয়েছেন তিনি। ১৬ জুলাই ২১ বছরে পা দেন আমন। আর জন্মদিনের এক মাসের মধ্যেই অলিম্পিক্সে পদক জিতে ভারতকে অক্সিজেন দেন আমন। ভিনেশ ফোগাটের দুর্ভাগ্যজনক প্রস্থানে ক্ষততে যেন কিছুটা প্রলেপ দেন তরুণ এই কুস্তিগীর। ব্রোঞ্জ জয়ের হাইভোল্টেজ ম্যাচে পুয়ের্তো রিকোর দারিয়ান তোই ক্রুজকে ১৩-৫ হারিয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন আমন। এই নিয়ে অলিম্পিক্সে ছ’টি পদক পেল ভারত। একটি রুপো এবং পাঁচটি ব্রোঞ্জ। আর প্যারিস থেকে কুস্তিতে প্রথম পদক এল দেশে। এবং টোকিয়ো গেমসের সাতটি পদক জয়ের কাছাকাছি পৌঁছতে আমন সাহায্য করেছে ভারতকে।
আমান শেরাওয়াত ২১ বছর ২৪ দিন বয়সে অলিম্পিক্সে পদক জিতে, পিভি সিন্ধুর দীর্ঘস্থায়ী অলিম্পিক্স রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। এর আগে ২০১৬ রিও অলিম্পিক্সে পিভি সিন্ধু ২১ বছর, এক মাস এবং ১৪ দিন বয়সে রুপো জিতেছিলেন। সেই সঙ্গে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ ক্রীড়াবিদ হিসাবে অলিম্পিক্সে পদক জয় করেছিলেন। সেখানে আমন ২১ বছর হলেও, এক মাসও পূরণ হয়নি। তাই সিন্ধুকে ছাপিয়ে নয়া নজির গড়েছেন তরুণ এই কুস্তিগীর।
ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারান আমন। মানুষ হয়েছেন দাদার কাছে। ব্রোঞ্জ জেতার পর তরুণ কুস্তিগীর বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই দেশের জন্য একটি পদক জিততে চেয়েছিলাম। যাইহোক, আমি ভারতের জনগণকে বলতে চাই যে, ২০২৮ সালে সকলের জন্য একটি সোনা জিতব। এবারও আমার টার্গেট ছিল সোনা। কিন্তু ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। সেমিফাইনালে হারটা ভুলে গিয়ে নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, এই ম্যাচটা ছেড়ে দাও এবং পরবর্তীতে ফোকাস কর। সুশীল পেহেলওয়ান জি দু’টি পদক জিতেছে, আমি ২০২৮ সালে জিতব এবং তার পরে ২০৩২ সালেও।’
ব্রোঞ্জ জয়ের ম্যাচে প্রথমে আমন ০-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়লেও, রক্ষণের দৌলতে তিনি সে যাত্রা বিপক্ষকে বেশি পয়েন্ট পেতে দেননি। তার পরেই বিপক্ষকে ‘টেক ডাউন’ করে ২ পয়েন্ট পান। এগিয়ে যান ২-১ পয়েন্টে। ফের একটি ভুলের কারণে ২-৩ পিছিয়ে পড়লেও ম্যাচে ফিরে আসেন আমন। প্রতিপক্ষকে ম্যাটের বাইরে বার করে প্রথম দু’পয়েন্ট এবং পরে এক পয়েন্ট পেয়ে ৬-৩ এগিয়ে যান। দ্বিতীয় রাউন্ডে ভুল করায় ব্যবধান কমে হয়ে ৫-৬। আবার বিপক্ষকে ‘টেক ডাউন’ করে ৮-৫ এগিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ১৩-৫ জিতে ব্রোঞ্জ জেতেন আমন।
(Feed Source: hindustantimes.com)