‘দেশের স্টক মার্কেটে ঝুঁকি’, একযোগে মোদি-আদানি-সেবির চেয়ারপার্সনকে নিশানা রাহুলের

‘দেশের স্টক মার্কেটে ঝুঁকি’, একযোগে মোদি-আদানি-সেবির চেয়ারপার্সনকে নিশানা রাহুলের

নয়াদিল্লি : আমেরিকার শেয়ার বিশ্লেষক সংস্থা Hindenburg Research-এর রিপোর্ট সামনে আসার পর একাধিক প্রশ্ন তুলে এবার সরব হলেন লোকসভা বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ‘দেশের স্টক মার্কেটে ঝুঁকি’ রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এর পাশাপাশি হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট সামনে আসার পর কেন এখন SEBI-র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ ইস্তফা দেননি, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এর পাশাপাশি এই ইস্যুতে একযোগে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও গৌতম আদানিকেও।

আদানি গ্রুপ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের ১৮ মাস পর গতকাল ফের বড়সড় দাবি করে শোরগোল ফেলে দিয়েছে Hindenburg Research। শনিবার তারা দাবি করে, আদানিদের বিরুদ্ধে যে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ ছিল, সেই অফশোর সংস্থায় স্টেক ছিল সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ব্যুরো অফ ইন্ডিয়া বা Sebi-র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের। দু’টি অফশোর ফান্ডে তাঁদের স্টেক ছিল বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এর পাশাপাশি হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এবং এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের ৪০টির বেশি অনুসন্ধানমূলক রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও, আদানিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি Sebi।

এনিয়েই সরব হয়েছেন রাহুল। এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিরোধী দলনেতা হিসাবে আপনাদের এই বিষয়ে অবগত করা আমার কর্তব্য যে, দেশের স্টক মার্কেটে প্রচুর ঝুঁকি রয়েছে। কারণ, যে প্রতিষ্ঠান স্টক মার্কেট পরিচালনা করে তারাই আপোস করে নিয়েছে। আদানিদের বিরুদ্ধে অফশোর ফান্ড ব্যবহার করে বেআইনিভাবে শেয়ারের মালিকানা এবং মূল্যের হেরফেরের মতো গুরুতর অভিযোগ আছে। এখন এটা উঠে আসছে যে, সেবির চেয়ারম্যান মাধবী বুচ ও তাঁর স্বামীর ওই ফান্ডগুলির একটিতে আগ্রহ ছিল। এটা বিস্ফোরক অভিযোগ। কারণ, এর অর্থ আম্পায়ার নিজেই আপোস করে নিয়েছেন। দেশের সৎ বিনিয়োগকারীরা সরকারকে প্রশ্ন করছেন, কেন এখনও সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ ইস্তফা দেননি ? বিনিয়োগকারীরা যদি তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ হারিয়ে ফেলেন, কে দায়ী হবেন- প্রধানমন্ত্রী মোদি, সেবির চেয়ারপার্সন, নাকি গৌতম আদানি ? নতুন এবং গুরুতর অভিযোগ ঘোরাফেরা করছে। সুপ্রিম কোর্ট কি আবার বিষয়টিতে স্বতঃপ্রণোদিত উদ্যোগ নেবে ? এটা এখন স্পষ্ট কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বিরুদ্ধে।’

(Feed Source: abplive.com)