জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: ভারতের স্বাধীনতা দিবস, আর বাংলাদেশে শোকদিবস। ১৫ অগাস্ট যখন ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত অন্তর্বতী সরকার, তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের জন্য় দেশবাসীর আহ্বান জানালেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিচার চাইলেন কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন হত্যাকাণ্ডেরও।
পদ্মাপারে এখন সেনা শাসন। তুমুল বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন শেখ হাসিনা। অন্তরাল থেকেই এবার দেশবাসীর জন্য বার্তা পাঠালেন তিনি। কবে? আজ, মঙ্গলবার। হাসিনার লেখা একটি চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করেছেন তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
চিঠিতে হাসিনা লিখেছেন, ‘ভাই ও বোনেরা, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। একইসাথে আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেছা, আমার তিন ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা লেফটেনেন্ট শেখ জামাল, কামাল ও জামালের নবপরিণীতা বধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, আমার ছোট ভাই যার বয়স মাত্র ১০ বছর ছিল, শেখ রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করে’। দেশবাসীর কাছে মুজিবকন্যার আবেদন, ‘যথাযথ মর্যাদার সাথে ভাব গম্ভীর পরিবেশে জাতীয় শোক দিবস ১৫ই আগস্ট পালন করুন। বঙ্গবন্ধু ভবনে পুষ্প মাল্য অর্পণ ও দোয়া মোনাজাত করে সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করুন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গল করুন। খোদা হাফেজ’।
জুলাই মাস থেকে কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল, চিঠিতে সেকথাও উল্লেখ করেছে হাসিনা। লিখেছেন, ‘গত জুলাই মাস থেকে আন্দোলনের নামে যে নাশকতা, অগ্নিসন্ত্রাস ও সহিংসতার কারণে অনেকগুলো তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। ছাত্র, শিক্ষক, পুলিশ, এমনকি অন্তঃসত্তা নারী পুলিশ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক সেবী, কর্মজীবী মানুষ, আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী , পথচারী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত, যারা সন্ত্রাসী আগ্রাসনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করছি এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি’।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘স্বজনহারা বেদনা নিয়ে আমার মত যারা বেঁচে আছেন, তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই। আমি এই হত্যাকাণ্ড ও নাশকতার সাথে জড়িতদের যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি’।
(Feed Source: zeenews.com)