ঐতিহাসিক মন্দির পরিদর্শন ইউনূসের, বাংলাদেশে হিন্দুদের সঙ্গে কোনও বৈষম্য হবে না বলে আশ্বাস

ঐতিহাসিক মন্দির পরিদর্শন ইউনূসের, বাংলাদেশে হিন্দুদের সঙ্গে কোনও বৈষম্য হবে না বলে আশ্বাস

ঢাকা : দায়িত্ব নিয়ে সংখ্যালঘুদের পাশে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রয়াদের ওপর বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার চালানো হচ্ছে, বাড়িঘর-মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ইউনূসের স্পষ্ট বার্তা, মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতা স্থাপন করা তাঁর লক্ষ্যগুলির মধ্যে অন্যতম।

মঙ্গলবার ইউনূস বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেন। এই অঞ্চলের এই মন্দিরে হিন্দুরা ৮০০ বছরের বেসি সময় ধরে পুজো-অর্চনা করে আসছেন। সেই মন্দির পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা। পরে তিনি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “দেশে সকলের সমান অধিকার আছে। আমাদের মধ্যে কোনও বৈষম্য নেই। দয়া করে সাহায্য করুন, ধৈর্য ধরুন এবং আমরা কী করতে পারলাম আর কী করতে পারলাম না তা পরে বিচার করুন। যদি আমরা ব্যর্থ হই, তখন সমালোচনা করুন।”

বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মার উপস্থিতিতে ইউনূস বলেন, “আমাদের গণতান্ত্রিক স্বার্থে, আমাদের মুসলিম, হিন্দু বা বৌদ্ধ হিসাবে দেখা ঠিক হবে না। আমাদের মানুষ হিসাবে দেখতে হবে। আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সব সমস্যার মূলে রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার দুর্বলতা। তাই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। প্রাতিষ্ঠানিক প্রথার সংস্কার করতে হবে।”

ইউনূস-নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে ধর্ম-বিষয়ক উপদেষ্টা হয়েছেন বাংলাদেশের ইসলামিক পণ্ডিত আবুল ফৈজ মহম্মদ খালিদ হোসেন। সোমবার তিনি ঢাকায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা করছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে অন্তর্বর্তী সরকার। দুষ্কৃতীদের শাস্তি দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি কারও বাড়িতে হামলা হলে তা রিপোর্ট করার জন্য একটি হটলাইন চালু করা হবে। এছাড়া ভাঙচুর হওয়া বাড়ি ও মন্দিরের একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। যাঁরা এসবের শিকার হয়েছেন তাঁদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।”

রবিবারই অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র-বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম শাখাওয়াত হোসেন দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। দেশজুড়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়লে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া যায়নি, এই মন্তব্য করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন তিনি।

(Feed Source: abplive.com)