Bangladesh Quota Movement: ভারতের মস্তানির দিন শেষ, একটা গুলি ছুড়লে দুটো ফেরত দেওয়া হবে: বাংলাদেশ

Bangladesh Quota Movement: ভারতের মস্তানির দিন শেষ, একটা গুলি ছুড়লে দুটো ফেরত দেওয়া হবে: বাংলাদেশ

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বারে বারে বাংলাদেশ একটা অভিযোগ করে থাকে সেটা হল সীমান্তে ভারতের বিএসএফ প্রায়শই গুলি চালিয়ে বাংলাদেশিদের মেরে ফেলছে। এবার হাসিনা চলে যাওয়ার পর নতুন অবস্থান নিল বাংলাদেশ সরকার। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন আজ বলেন, সীমান্তে বিজিবিকে পিঠ দেখাতে বাধ্য করা হয়েছে। তাদের আর পিঠ দেখিয়ে থাকতে হবে না।

মঙ্গলবার ছাত্র আন্দোলেন আহতদের দেখতে বিজিবির হাসপাতালে যান এম সাখাওয়াত হোসেন। সেখানেই তিনি ওই কথা বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে যারা দানবে পরিণত করেছে, তাদের বিচার হবে। দেশি ও আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের দাঁড় করানো হবে। প্রতিটি হত্যার পর বিজিবিকে সীমান্তে পতাকা বৈঠক করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই।

হাসিনা চলে যাওয়ার পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে তা ভবিষ্যতই বলবে। তবে দেশের প্রধান উপদেষ্টা থেকে বিদেশ মন্ত্রকের প্রধান তৌহিদ হোসেন কেউই দুহাত তুলে ভারতের পক্ষে কথা বলেননি। রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাসিনা আমলের কথা তোলেন তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। কিন্তু সেই সময়কার কথা মানুষের মতে কতটা দাগ কেটেছিল তা নিয়ে আমার মনে সন্দেহ রয়েছে। আমরা চাইব এই সম্পর্কটা শুধু দুদেশের সরকারের মধ্যে নয় বরং দুদেশের মানুষের মধ্যে গড়ে উঠুক। আমরা চাই বাংলাদেশিরা যেন ভারতকে তার বন্ধু ভাবে। সেই দিকেই আমরা সম্পর্কটা নিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই ভারত আমাদের সহায়তা করবে। কারও সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ রাখতে চাই না। এমনকি খোদ ইউনূস জানিয়েছেন ভারত বাংলাদেশের একটি পরিবারের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছে। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে নয়।

মঙ্গলবার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশ খুবই অনুতপ্ত। পুলিশকে যাতে আর কেউ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়েছে। পুলিশ সদস্যরা বলেছে এই পোশাক পরে তারা একদিনের জন্যও বের হতে চান না। পুলিশের ইউনিফর্মের ডিজাইন এবং ড্রেসের ডিজাইন দিতে বলা হয়েছে।

লুট হওয়া অস্ত্র নিয়ে তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) পর্যন্ত অস্ত্র জমা দেয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আর যদি জমা দেয়া না হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ২ রকম আইনি ব্যবস্থা হবে। প্রথমটি হলো নিষিদ্ধ অস্ত্র ছিনতাইয়ের দায় আর দ্বিতীয়টি হলো অবৈধ অস্ত্র পাওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করা।

(Feed Source: zeenews.com)