১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিবসে ছুটি-বাতিল বাংলাদেশে? আওয়ামি লিগ শোক-দিবস পালন করতে পারবে?

১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিবসে ছুটি-বাতিল বাংলাদেশে? আওয়ামি লিগ শোক-দিবস পালন করতে পারবে?

কলকাতা : ১৫ অগাস্ট । ভারতের স্বাধীনতা দিবস। আর বাংলাদেশের ইতিহাসে এ এক কালো দিন। এতদিন পর্যন্ত অনন্ত তাই ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী। এ বছর তার ৪৯ তম বর্ষ। এতিন বাংলাদেশে এই দিনটি  জাতীয় শোক দিবস হিসাবে পালিত হত । কিন্তু এ বছর বাংলাদেশের পরিস্থিতি বদলে গেছে। ইতিহাস বদলে না গেলেও, নতুন সরকার বদলে ফেলছে জাতীয় গুরুত্ববহ দিনগুলির তালিকা। যেখানে মুজিব কন্যা হাসিনার আমলে বাংলাদেশে অগাস্ট মাসটা শোকের মাস হিসেবে পালন হত, সেখানে এবার মুজিবরের মৃত্যুদিনে আদৌ ছুটি দেওয়া হবে কি না সন্দেহ।

১৯৭৫-এর ১৫ অগাস্ট ধানমণ্ডির বাড়িতে বিক্ষুব্ধদের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। হাসিনার আমলে মুজিবর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্বিচারে হত্যার দিনটি বাংলাদেশের পালিত হত জাতীয় শোকের দিন হিসেবে।   মহম্মদ ইউনুসের সম্প্রতি বৈঠক করেন বিএনপি ও অন্যান্য দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে । সূত্রের খবর, বেশিরভাগই নাকি শোক দিবস হিসাবে পালনের বিপক্ষে। এমনকী তাঁরা চান না, এই দিন সরকারে ছুটি দেওয়া হোক। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ জুড়ে বঙ্গবন্ধুর একাধিক মূর্তি খানখান করে ফেলা হয়েছে। ছবিতে লেপা হয়েছে কালি। দেশজুড়ে মুজিবরের স্মৃতি, মুজিবর কন্যার জিনিসপত্র ও তার সমর্থকদের উপর চড়াও হয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।  এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার  চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে ১৫ অগাস্ট জাতীয় ছুটি বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে শোকপালনের সম্ভাবনা তো দূরস্থ। ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন না করার সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছে অনেকগুলি ছাত্র সংগঠনও। তাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিচার করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এবার আর বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক পরিণতিতে শোক পালন করবে না দেশের জনতা ।

এরই মধ্যে দেশবাসীর উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সোশ্যাল পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবনে যে নারকীয় হত্যার ঘটনা ঘটেছিল সেই স্মৃতি বহনকারী বাড়িটি আমরা দুই বোন বাংলার মানুষকে উৎসর্গ করেছিলাম। গড়ে তোলা হয়েছিলো স্মৃতি জাদুঘর। দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দেশ বিদেশের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এই বাড়িতে এসেছেন। স্বাধীনতার স্মৃতিবহনকারী এই জাদুঘরটি। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে স্মৃতিটুকু বুকে ধারণ করে আপনজন হারাবার সকল ব্যথা বেদনা বুকে চেপে রেখে বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার লক্ষ্য নিয়ে প্রিয় দেশবাসী আপনাদের সেবা করে যাচ্ছি। তার শুভ ফল ও আপনারা পেতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে । আজ তা ধুলিসাৎ হয়ে গেছে।’

তবে এই বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতেও মুজিবের মৃত্যুদিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসিনার আওয়ামী লিগ। হালে দলের নেতা , কর্মী ও সমর্থকদের উপর বর্বরোচিত অত্যাচার হয়েছে। তার মধ্যেই তারা অনড় বঙ্গবন্ধুর প্রয়াণ দিবস পালন করার বিষয়ে। এখন দেখার প্রথম থেকে সহনশীলতা ও অহিংসতার বার্তা দিয়ে আসা ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৫ অগাস্ট নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন।

(Feed Source: abplive.com)