‘হিন্দুদের বারবার দেশ ছাড়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে’, বাংলাদেশে হিংসার পরিসংখ্যান তুলে ধরল মহাজোট

‘হিন্দুদের বারবার দেশ ছাড়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে’, বাংলাদেশে হিংসার পরিসংখ্যান তুলে ধরল মহাজোট

ঢাকা : ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর বাংলাদেশের ৪৮টি জেলায় ২৭৮টি হিন্দু পরিবার পরিবার ব্যাপক হিংসা এবং ভাঙচুরের সম্মুখীন হয়েছে। মঙ্গলবার এমনই দাবি করল বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। এই মহাজোট ২৩টি ধর্মীয় সংগঠনের সম্মিলিত মঞ্চ।

৫ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা বলেন, ‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বসবাস করা সত্ত্বেও, এখন তাঁরা ক্রমাগত ভয়ে ভয়ে বাঁচছেন।’

এই পরিস্থিতিতে সাত দফা দাবি তোলে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। যেখানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে এই অনিশ্চয়তার মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ করার আবেদন জানায়। এই প্ল্যাটফর্মের মুখপাত্র ও এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি পলাশ কান্তি দে বলেন, “রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে ভাঙচুর, লুঠপাট, অগ্নিসংযোগ, জমি দখল, দেশ ছাড়ার হুমকির ঘটনা বারবার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ঘটছে । এটা শুধু ব্যক্তির ওপর হামলা নয়, হিন্দু ধর্মের ওপর হামলা।” অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার কাছে এই উদ্বেগ-বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন সম্প্রদায়ের নেতারা।

BJHM-এর সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায় বলেন, “যখনই সরকার পাল্টায়, হিন্দুদের ওপর প্রথম হামলা হয়। অতীতে এধরনের ঘটনা কম থাকলেও, সম্প্রতি তা বেড়েছে। আমরা নিরাপদে এই দেশে বসবাস করতে চাই। আমরা এখানে জন্মেছি, এই দেশে আমাদের অধিকারও আছে।”

মঙ্গলবার ইউনূস বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেন। এই অঞ্চলের এই মন্দিরে হিন্দুরা ৮০০ বছরের বেসি সময় ধরে পুজো-অর্চনা করে আসছেন। সেই মন্দির পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা। পরে তিনি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “দেশে সকলের সমান অধিকার আছে। আমাদের মধ্যে কোনও বৈষম্য নেই। দয়া করে সাহায্য করুন, ধৈর্য ধরুন এবং আমরা কী করতে পারলাম আর কী করতে পারলাম না তা পরে বিচার করুন। যদি আমরা ব্যর্থ হই, তখন সমালোচনা করুন।”

বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মার উপস্থিতিতে ইউনূস বলেন, “আমাদের গণতান্ত্রিক স্বার্থে, আমাদের মুসলিম, হিন্দু বা বৌদ্ধ হিসাবে দেখা ঠিক হবে না। আমাদের মানুষ হিসাবে দেখতে হবে। আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সব সমস্যার মূলে রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার দুর্বলতা। তাই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। প্রাতিষ্ঠানিক প্রথার সংস্কার করতে হবে।”

(Feed Source: abplive.com)