মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই বদলে যেতে পারে জীবন। প্রমাণ করেছিলেন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার আদিত্য আগরওয়াল। মোক্ষম লগ্নে ফেসবুকে প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের হাত ধরে বিরাট কান্ড বাঁধিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় দাঁড়িয়ে এমনটা কেউ ভাবেনওনি। সারা বিশ্ব জুড়ে অনন্য সৃষ্টিতে ভারতীয়দের অবদানের অন্যতম স্মারক হয়ে রয়ে গিয়েছে আদিত্য আগরওয়ালের গল্প।
সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক তখন সবে সবে শুরু হয়েছিল। ভারতীয় প্রকৌশলী আদিত্য আগরওয়াল কোম্পানিতে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ফেসবুকে কাজ শুরুর মাত্র এক সপ্তাহ পরেই, মেটা সিইও মার্ক জুকারবার্গ আদিত্য আগরওয়ালের সামনে একটা চ্যালেঞ্জ এনে হাজির করেছিলেন। ফেসবুক-এর যুগান্তকারী সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করতে বলেছিলেন আদিত্যকে। এরপরেই ভোল পাল্টে ফেলে তাঁর জীবন।
ঠিক কী ঘটেছিল
‘মার্ক জুকারবার্গ অন লামাস, এআই, এবং মাইনাস ওয়ান’-এ অংশগ্রহণ করার সময়, আদিত্য আগরওয়াল প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি ২০০৫ সালে মার্ক জুকারবার্গের সঙ্গে প্রথম দেখা করেছিলেন। আদিত্য আগরওয়াল ফেসবুকের জন্য মার্ক জুকারবার্গের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং একজন প্রাথমিক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কোম্পানিতে কাজ শুরু করা কথা স্মরণ করেছেন এদিন।
কাজ পাওয়ার এক সপ্তাহ পরেই আদিত্য আগরওয়ালকে ফেসবুকের সার্চ ইঞ্জিন তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। মার্ক জুকারবার্গ আদিত্য আগরওয়ালকে কোনও দলের সাহায্য ছাড়াই একা এই মিশনটি সম্পন্ন করতে বলেছিলেন। ফেসবুকের প্রোডাক্ট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম পরিচালক আদিত্য আগরওয়াল চ্যালেঞ্জটি সাদরে গ্রহণ করে, এমন সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করেছিলেন, যা গোটা ফেসবুককেই বদলে দিয়েছিল।
আদিত্য আগরওয়াল প্রকাশ করেছেন যে তিনি মার্ক জুকারবার্গকে সার্চ ইঞ্জিন তৈরির জন্য গুগল বা ইয়াহু থেকে কাউকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন, তবে মেটার সিইও তাঁকে জোর দিয়ে বলেছিলেন, ‘বন্ধু আমি যদি একটি ফেসবুক তৈরি করতে পারি তবে আপনিও একটি সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করতে পারেন।’ উল্লেখ্য, আদিত্যের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী রুচি সাঙ্ঘভিও, ফেসবুকে কাজ শুরু করেছেন। তাঁকে কোম্পানির প্রথম দিনগুলিতে যোগ দিতে রাজি করিয়েছিলেন আগরওয়ালই।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে যদিও ফেসবুক-এ নেই আদিত্য আগরওয়াল। ২০১০ সালে ফেসবুক ছেড়ে, তিনি বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি কোম্পানিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন এবং করছেন।
আদিত্য আগরওয়াল বর্তমানে সান ফ্রান্সিসকো এবং নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত একটি যৌথ সংস্থা, সাউথ পার্ক কমন্সের অংশীদার। গ্রুপটির ৫০০ জনেরও বেশি সদস্য এবং প্রাক্তন ছাত্ররা রয়েছেন, যাঁরা হয় তাদের নিজস্ব কোম্পানি শুরু করেছেন বা গুগল ব্রেইন, ওপেনএআই এবং চ্যান জুকারবার্গ ইনিশিয়েটিভের মতো শীর্ষ সংস্থায় কাজ শুরু করেছেন।
(Feed Source: hindustantimes.com)