প্যারিসে পদক হারানোর যন্ত্রণা নিয়েই নিজের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে বিরাট ইঙ্গিত ভিনেশের

প্যারিসে পদক হারানোর যন্ত্রণা নিয়েই নিজের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে বিরাট ইঙ্গিত ভিনেশের

প্যারিস অলিম্পিক্সের গোল্ড মেডেল ম্যাচ থেকে বাতিল হওয়ার পরেই হতাশায় খেলা ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ভিনেশ ফোগট। শেষমেশ নিশ্চিত পদক হাতছাড়া হলেও লড়াই ছেড়ে যে পালিয়ে যাননি তিনি, সেটা মনে করিয়ে দিলেন তারকা কুস্তিগির। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ার দীর্ঘ পোস্টে ভিনেশ জানালেন, প্যারিসে এভাবে ছিটকে যেতে না হলে শুধু পরের অলিম্পিক্সেই নয়, বরং ২০৩২ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে পারতেন তিনি।

ওজন বেশি হওয়ার জন্য প্যারিসে মেয়েদের ফ্রি-স্টাইল কুস্তির ৫০ কেজি বিভাগে মেডেল হাতছাড়া হয় ভিনেশের। তার পরেই কার্যত গাফিলতির আঙুল ওঠে ভিনেশের কোচিং টিমের দিকে। তবে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ভিনেশ অভিযোগ করা তো দূরের কথা, বরং কৃতজ্ঞতায় ভরালেন সাপোর্ট স্টাফদের।

তিনি জানান, কীভাবে ছোটবেলায় আর পাঁচজন মেয়েদের মতো লম্বা চুল আর মোবাইলের স্বপ্নে মশগুল থাকতেন। তবে তাঁর বাস ড্রাইভার পিতা চাইতেন একদিন মেয়ে বিমানে করে তাঁর বাসের উপর দিয়ে উড়ে যাবে। বাবার স্বপ্নের কথা ছোটবেলায় বুঝে উঠতে পারতেন না ভিনেশ। উদ্ভট মনে হতো এমন স্বপ্ন। বড় হয়ে টের পেয়েছেন তাঁর পিতা আসলে কী চাইতেন।

ভিনেশ কঠিন সময়ে লড়াইয়ের প্রেরণা খুঁজে পান মায়ের কাছ থেকে। যেভাবে দৈনন্দিন জীবনে লড়াই চালিয়েছেন তাঁর মা, তা থেকেই তিনি বাস্তব জীবনে শিক্ষা নিয়েছেন বলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানান তারকা কুস্তিগির।

ভিনেশ তাঁর খেলোয়াড় জীবনে যাঁদের বড় প্রভাব রয়েছে, কোচ, ডাক্তার, ফিজিয়ো, প্রত্যেককেই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। ডাক্তার পারদিওয়ালা, ওয়েন প্যাট্রিক, কোচ ওলার আকোস, ফিজিয়ো অশ্বিনী পাটিল, তাজিন্দর কৌর, অলিম্পিক গোল্ড কোয়েস্ট টিম এমনকি প্যারিস অলিম্পিক্সের সিএমডি গগন নারংকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর লড়াইয়ে পাশে থাকের জন্য।

প্যারিস অলিম্পিক্সে যেটা ঘটেছে, সেটাকে নিয়তি বলেই মেনে নিয়েছেন ভিনেশ। তিনি দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের শেষে লেখেন, ‘৬ অগস্ট রাত ও ৭ অগস্ট সকালে যা ঘটেছে, এটা বলতে পারি যে, আমরা হাল ছাড়িনি। আমাদের লড়াই থেমে যায়নি। আমরা আত্মসমর্পণ করিনি, তবে সময়টা থেমে গিয়েছে এবং আমাদের জন্য সময়টা ভালো ছিল না। হয়তো ওটাই আমার নিয়তি ছিল।’

বে আমরা পরিকল্পনা করেছি, সেটা অপূর্ণ থেকে গিয়েছে। এটা হয়তো অপূর্ণই থেকে গেল। হয়তো সবকিছু একই রকম থাকবে না। হতে পারে ভিন্ন পরিস্থিতিতে আমি ২০৩২ পর্যন্ত খেলা চলিয়ে যেতে পারতাম। কারণ আমার মধ্যে যে লড়াই রয়েছে, যে কুস্তি রয়েছে, সেটা একই রকম থাকবে। আমি জানিনা ভবিষ্যতে আমার জন্য কী অপেক্ষা করে রয়েছে, তবে একটা বিষয়ে আমি নিশ্চিত যে, যেটা আমি যথার্থ বলে বিশ্বাস করি, তার জন্য আমি সর্বদা লড়াই চালিয়ে যাব।’

(Feed Source: hindustantimes.com)