জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রায় ১৬ বছর পর প্রথমবার ১৫ অগাস্টের শোকদিবস নিয়ে দোটানায় ছিল বাংলাদেশ। মুজিব-হত্যার দিন হিসেবে ১৫ অগস্টকে বরাবরই ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে পালন করে এসেছে হাসিনার দল, সেখানে এবারে কী হতে চলেছে তা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেন। কিন্তু তাই বলে এদিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বাড়ির সামনে যা ঘটল তার জন্য কী প্রস্তুত ছিল নতুন বাংলাদেশ!
গত বুধবার মধ্যরাতের পরে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োতে দেখা যায়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে মাইকে বিভিন্ন গান বাজিয়ে আনন্দ উল্লাস করছে অবস্থানকারীরা। ‘লুঙ্গি ডান্স’, ‘দুষ্টু কোকিল ডাকেরে’, ‘রূপবানে নাচে কোমর দুলাইয়া’ প্রভৃতি গানের সঙ্গে নেচে উল্লাস করেন তারা। তাদের অনেকের মাথায় জাতীয় পতাকা বাঁধা দেখা গেছে, কারও কারও হাতেও ছিল।
মুজিব হত্যা বাংলাদেশের ইতিহাসের গতিপথ পাল্টে দিয়েছিল। সে কথা স্মরণে রেখেই ধানমন্ডি ৩২-কে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত মিউজিয়ামে পরিণত করা হয়। সেই বাংলাদেশের রাজনীতি কীভাবে ইউ-টার্ন নিয়েছে তা দেখানোর জন্য, ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২-এর বাইরে যা হল তা নিন্দনীয় বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। বাংলাদেশের জনগণও কী এটা ভালোভালে নিয়েছে? একাংশের মতে কিছুটা হলেও দেশে এ নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছে।
যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সমর্থকদের উদ্দেশে হাসিনা-পুত্র শেখ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভিডিয়ো-বার্তা ছিল, ‘বঙ্গবন্ধু দলীয় বিষয় নন। বঙ্গবন্ধু হলেন জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধু না হলে আজ আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। পাকিস্তান হয়েই থাকতাম। আপনারা যদি স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করেন, আপনারা যদি বাংলাদেশকে ভালোবাসেন এবং যদি মেনে নেন যে, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন, তা হলে ১৫ অগস্ট ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে ফুল দিয়ে আসবেন।’
কিন্তু শেখ হাসিনা পরবর্তী অন্তবর্তীকালীন সরকারের হাতে শোকদিবসে যে অন্যচিত্র সামনে এসেছে তা বোধহয় কল্পনা করেনি বাংলাদেশের একাংশ। শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানপন্থী ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ক্ষোভ ৫ আগস্ট প্রতিবাদকারীরা মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভাঙচুরের মাধ্যমে তীব্রভাবে প্রকাশ করেন। এদিন তারই আরও এক নির্দশন বলেই মনে করেছে অনেকে।
(Feed Source: zeenews.com)